সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুঞ্চিত ত্বক, আপাত বিবর্ণ মুখমণ্ডল। অ্যাসিড হামলা সৌন্দর্যকে এক নিমেষে ম্লান করে গিয়েছে। ঝলসে দিয়েছে মুখের ৭০ শতাংশ। যে চেহারা দেখলে বাচ্চারা আঁতকে ওঠে। চিৎকার জুড়ে দেয়। পাড়া-প্রতিবেশী তো দূরের কথা, নিজের মা-বাবার কাছেও যে চেহারা বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। এমনকী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখ দেখে নিজেই আঁতকে ওঠে সে! একনজরে দেখে বোঝা দায়, ইনি দীপিকা পাড়ুকোন। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার, বিশ্ব মানবাধিকার দিবসেই মুক্তি পেল ‘ছপাক’-এর ট্রেলার। আর ট্রেলারে এমনভাবেই ধরা দিলেন অ্যাসিড আক্রান্ত যোদ্ধা লক্ষ্মী আগরওয়ালের ভূমিকায় দীপিকা পাড়ুকোন।
‘ছপাক’-এর ফার্স্টলুকে দেখা গিয়েছিল দীপিকার চেহারা অ্যাসিড আক্রান্তের মতোই কুঁচকে গিয়েছে। একঝলকে লক্ষ্মী আগরওয়ালের সঙ্গে অভিনেত্রীর তেমন কোনও অমিল তো চোখে পড়েইনি। বরং, দীপিকাকে যে এই চরিত্রে যথাপোযুক্ত মানিয়েছে, ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর সেই প্রশংসা আরও জোরালো ভাবে শোনা গেল। ‘পদ্মাবত’-এর পর ফের সিনেপর্দায় দেখা যাবে দীপিকা-ম্যাজিক। আর তাই ট্রেলার মুক্তির পর ‘ছপাক’ নিয়ে সিনেপ্রেমীদের উন্মাদনার পারদ যে স্বাভাবিকবশতই আরও চড়ে গিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
“কী ভালই না হত, যদি বাজারে অ্যাসিড বিক্রি নিষিদ্ধ হত, তাহলে হয়তো শয়ে শয়ে মেয়েকে এভাবে পুড়তেও হত না। কোঁচকানো চামড়া, ক্ষত-বিক্ষত চেহারার অভিশপ্ত জীবন নিয়ে বাঁচতে হত না”, এমন আরতিও শোনা যায় পর্দার মালতি ওরফে দীপিকার মুখে।
লক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে কম কাঠখড় পোহাতে হয়নি তাঁকে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুটিং ফ্লোরে নামার আগে দীপিকার হোমওয়ার্কও ছিল বেশ পোক্ত। সিডি, পেনড্রাইভে যত রেফারেন্স দেওয়া হয়েছিল তাঁকে এই চরিত্রের জন্য সবক’টা সময় নিয়ে দেখেছেন এবং একজন অ্যাসিড আক্রান্তের জীবনের যে কঠিন বাস্তব, তাঁদের রোজকার যে জীবনযুদ্ধ সেটার সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করার চেষ্টা করেছেন তিনি। যাতে পর্দায় সেই কঠিন যন্ত্রণাটা ফুটিয়ে তুলতে পারেন। আর সেই প্রচেষ্টায় তিনি যে সফল, ইঙ্গিত মিলল ট্রেলারেই। সূত্রের খবর, সেটে দীপিকার মেকআপে বেশ সময় লেগে যাচ্ছিল। এমনকী, আজ অবধি যে ক’টা ছবিতে অভিনয় করেছেন, তাঁর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হোমওয়ার্ক যে দীপিকা ‘ছপাক’-এর মালতি চরিত্রের জন্যই করেছেন, একথা জানিয়েছিলেন দীপিকা নিজেই।
‘ছপাক’-এ দীপিকার চরিত্রের নাম মালতি। এবং তাঁর স্বামী অমলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ‘মির্জাপুর’ খ্যাত অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনকাহিনি অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে এই ছবি।
দেখুন ট্রেলার
[আরও পড়ুন:জীবনের আঁধার থেকে বেরিয়ে ব়্যাম্পে আলো ছড়ালেন অ্যাসিড আক্রান্ত মনীষা ]
The post অ্যাসিড-দগ্ধ মালতির ফিরে আসার গল্প, ‘ছপাক’-এর ট্রেলারে অনবদ্য দীপিকা appeared first on Sangbad Pratidin.