সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবীন্দ্র সরোবরে গতবছরই ছটপুজোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত অর্থাৎ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবছরও সরোবরে দিব্যি চলছে ছটপুজোর আয়োজন। ইতিমধ্যেই সেজে উঠতে শুরু করে লেক চত্বর। লাগানো হয়েছে আলো। বাঁধা হচ্ছে মঞ্চ। এমনকি পুজোর জন্য জলে নামতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য জলের মধ্যে বাঁধা হয়েছে মই। প্রশ্ন উঠছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরোবরে ছট পুজোর আয়োজন কীভাবে হচ্ছে?
[রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, এবার ছট পুজোয় দু’দিন ছুটি]
একসময় রবীন্দ্র সরোবর লেকে নিয়মিত চলত ধর্মীয় আচার আচরণ। কিন্তু শহরের অন্যতম বড় জলাশয়ে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের ফলে ক্ষতি হচ্ছিল পরিবেশের। সমস্যায় পড়ছিল জলাশয়কেন্দ্রীক বাস্তুতন্ত্র। জলের প্রাণীরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলই সেই সঙ্গে বন্ধ হচ্ছিল পরিযায়ী পাখির আনাগোনা। তাই গতবছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো-সহ অন্য সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধের আবেদন করে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। তাঁর করা মামলার ভিত্তিতে আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর লেকে আর কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। কোনওরকম বাজি পোড়ানো যাবে না, অতিরিক্ত আলো জ্বালানো যাবে না, লেকের জলে ফেলা যাবে না ফুলও। তবে, গতবছর শেষবারের মতো ছটপুজোর আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আদালতে আয়োজকরা যুক্তি দেখিয়েছিলেন, শেষ মুহূর্তে নির্দেশিকা আসায় ছটপুজো অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আয়োজকদের সেই যুক্তি মেনে নিয়ে আদালত ২০১৭ সালেই শেষবারের মতো ছটপুজোর আয়োজনের অনুমতি দেয়।
[ইসলামপুর বদলে হল ‘ঈশ্বরপুর’, এবার কি নাম বদলের হিড়িক এ রাজ্যেও?]
কিন্তু এবছরও আগের মতোই পুজোর আয়োজনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলছেন, এটা শুধু আদালতের অবমাননা নয়, শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনায় নির্দিষ্ট কিছু আধিকারিকের জরিমানা এমনকী জেল পর্যন্ত হওয়া উচিত। তাঁর অভিযোগ, সরকার একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকে তুষ্ট করতেই আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি দিচ্ছে।