গোবিন্দ রায়: রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার দিনই জামিন পেয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর মহাতো। রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলায় NIA-র মামলাযয় ধৃত ছত্রধর মাহাতোকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে জামিন দিলেও বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ আদপে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হবে কিনা, সেটা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
২০০৯ সালে ঘটনার ১১ বছর পর ২০২০ সালে তদন্ত হাতে নেয় এনআইএ। তারপর প্রায় ৩ বছর কেটে গিয়েছে। অথচ, এই মামলায় এখনও কয়েকজন অভিযুক্ত ফেরার। আবার ধৃতদের অনেককে ট্রায়ালে আদালতে পেশ করতে রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকী এখনও চার্জশিট দেয়নি এনআইএ। এই অবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছত্রধরকে (Chhatradhar Mahato) জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘মা-মাটি-মানুষের জয় মৃত্যুহীন হলেই ভাল হত’, দুঃখপ্রকাশ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের]
তবে জামিন দিলেও ছত্রধরের উপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার ঢুকতে পারবেন না ছত্রধর। তাছাড়া সপ্তাহে একবার তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে। আদালতের নির্দেশ, দ্রুত এই বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে উদ্যোগ নিতে হবে জেলা জজকে। এর আগে ২ ছেলের বিয়ের জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। গত বছর ২ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। অন্তবর্তী জামিনের শেষ দিনে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা মামলায় চাপে ব্রিজভূষণ, চার্জশিটে কড়া শাস্তির সুপারিশ]
এই মুহূর্তে ছত্রধর মূলত দুটি মামলায় অভিযুক্ত, ২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেসে নাশকতার চেষ্টা এবং ওই বছরেই সালে লালগড়ে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো হত্যাকাণ্ড। দুই মামলাতেই দীর্ঘ সময় পর তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ (NIA)। তবে দুটি মামলাতেই তদন্তের অগ্রগতি প্রশ্নের মুখে।