সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভাবের সংসার৷ নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে দারিদ্রই একমাত্র সঙ্গী৷ তবে, খাওয়া জুটুক অথবা না জুটুক, ছেলের পড়াশোনা নিয়ে কোনও খামতি রাখেননি৷ চড়া সুদে ঋণ নিয়েও জুগিয়ে গিয়েছেন ছেলের পড়ার খরচ৷ বাবার হাড়ভাঙা পরিশ্রমেরও মান রেখেছে ছেলেও৷ জয়েন্টে এবার ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে সফল ছত্তিশগড়ের জশপুর জেলার বালুমুকুন্দ পাকড়া৷
বাবা, দৈনিক ৪০ টাকা বেতনে স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না করেন৷ কোনওক্রমে চলে সংসার৷ অভাব প্রতিদিনের সঙ্গী হলেও হাল ছাড়েননি বালুমুকুন্দের বাবা৷ সংসার না চললেও নিজের ছেলের জন্য দিয়ে পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে গিয়েছেন৷ বাবার হাড়ভাঙা পরিশ্রমেরও মান রেখেছে ছেলেও৷ জয়েন্টে এবার ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে সফলে পৌঁছে গিয়েছে বালুমুকুন্দ৷
কিন্তু, সাফল্য এলেও আগামী খরচের কথা ভেবেই চমকে উঠছেন বালুমুকুন্দের পরিবার৷ দিনে ৪০ টাকা উপার্জন করে ছেলেকে জয়েন্ট দেওয়ার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন৷ কিন্তু, ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার খরচ বিপুল৷ এই অর্থ জোগাবে কে? ছেলের সাফল্য গোটা পরিবারকে খুশি করলেও চিন্তা কাটছে না৷ যদিও, ওই যুবকের স্কুলের তরফে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷
এমনিতেই পিছিয়ে পড়া জেলা জশপুর৷ মাও অধ্যুষিত এলাকা বলে বেশি পরিচিত৷ পানীয় জল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও অনুন্নত৷ স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, সব দিক থেকেই পিছিয়ে এই জেলা৷ সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও মেধায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ুয়ারা কোনওভাবেই কম যায় না তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন তিনি৷
The post বাবা মিড-ডে মিলের রাঁধুনি, জয়েন্ট পরীক্ষায় সফল ছেলে appeared first on Sangbad Pratidin.