সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালেশ্বরের দুর্ঘটনা, কো-উইনের তথ্য ফাঁসের অভিযোগ, তারপর আবার প্রাক্তন টুইটার কর্তা জ্যাক ডরসির বিস্ফোরক অভিযোগ। কেন্দ্রের মোদি (Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অতীতে যে বিস্ফোরক অভিযোগগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, সেগুলির মধ্যে যোগসূত্র একটাই। অশ্বিনী বৈষ্ণব। মোদি মন্ত্রিসভার সবচেয়ে শিক্ষিত মন্ত্রীদের মধ্যে একজন অশ্বিনী, এই তিনটি বিষয় যে যে মন্ত্রকের সঙ্গে সম্পর্কিত সেই সব মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত।
বালেশ্বর দুর্ঘটনার পর সক্রিয়ভাবে উদ্ধারকাজ চালাতে দেখা গিয়েছিল অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। প্রায় দু’দিন টানা নিজে উপস্থিত থেকে উদ্ধারকর্মীদের উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপর আর সেভাবে দেখা মেলেনি তাঁর। তারপর মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আরও দু’টি বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। এক, করোনার টিকাদানের জন্য যে কো-উইন অ্যাপ (Co-Win) তৈরি হয়েছিল, সেই অ্যাপের তথ্য ফাঁস। দুই, টুইটারের প্রাক্তন কর্তা জ্যাক ডরসির বিস্ফোরক অভিযোগ। তিনি দাবি করেছেন, কৃষক বিক্ষোভের সময় সরকার কেন্দ্র বিরোধী সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: রাজু ঝাঁ হত্যার সঙ্গে কয়লা পাচার যোগের সন্দেহ! CBI তদন্তের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট]
এই যাবতীয় অভিযোগের মোকাবিলা করছেন ইলেট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajiv Chandrasekhar)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের পূর্ণমন্ত্রী হলেন এই অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি এই জোড়া অভিযোগের পর প্রকাশ্যেই আসেননি। কোনও বিবৃতিও দেননি। আইআইটি-আইআইএম পাশ করা মন্ত্রী বৈষ্ণবের এই ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন অতিসক্রিয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন]
কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, কেন এই ধরনের নির্বাচনে না দাঁড়ানো লোকজনকে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেনই বা মানুষের বিভীষিকা বাড়ানো হচ্ছে? চিদম্বরমের অভিযোগ, রেলমন্ত্রী হিসাবে ২০২২ সালে দেওয়া CAG রিপোর্ট তিনি পড়েননি। কোউইনের তথ্য ফাঁস দেখিয়ে দিয়েছে, সাধারণের তথ্য নিরাপত্তার সব দাবি ভুয়ো। আবার টুইটারের অভিযোগেও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা নিরপেক্ষ বলে সরকার যে দাবি করে, সেটাও ভুয়ো।