সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেনাতে হবে স্পর্শের ভাষা। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের সতর্ক করতে হবে যৌন হেনস্তার বিষয়ে। বোঝাতে হবে ভাল স্পর্শ আর খারাপ স্পর্শের মধ্যে প্রভেদ। বার্তা দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachur)।
বর্তমানে শুধু দেশে নয়, সর্বত্রই যে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে এবং তাকে আড়াল করার চেষ্টা চলে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর পরামর্শ, ছোট থেকেই অভিভাবকদের উচিত ‘নিরাপদ স্পর্শ’ এবং ‘বিপজ্জনক স্পর্শের’ মধ্যে পার্থক্য চিনতে ও বুঝতে শিশুকে সচেতন করে তোলা। তিনি বলেন, “বহু সময়েই পরিবারের সদস্যদের হাতেই যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় শিশুকে। নির্যাতিত এবং নির্যাতনকারী যদি একই পরিবারের সদস্য হয় তাহলেও অভিযোগ দায়ের করতে হবে। কারণ পারিবারিক সম্মান এই সমস্ত ঘটনার ঊর্ধ্বে নয়।”
[আরও পড়ুন: রাত ১১টার পর রাস্তায় হাঁটছেন কেন! আজব কারণে বেঙ্গালুরুর দম্পতিকে জরিমানা পুলিশের]
এমনকী এই বিষয়ে সরকারকেই যে প্রচার চালাতে হবে তার উপরেও জোর দেন প্রধান বিচারপতি। শনিবার শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন ‘পকসো’ বিষয়ক আলোচনাসভায় যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেখানে তিনি বলেন, “বহু জায়গাতেই শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা গোপন করার চেষ্টা হয়। এই প্রবণতা দুর্ভাগ্যজনক। নীরবতা অপরাধীদের প্ররোচনা দেয়। যে শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তার সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।”
[আরও পড়ুন: জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকরের পথে কেন্দ্র, এবার অনার্স-সহ স্নাতকের ডিগ্রি পেতে লাগবে ৪ বছর]
গত সেপ্টেম্বরেই গর্ভপাত নিয়ে বড় রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। দেশের সব মহিলা নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের (Abortion) অধিকারী, এই বিষয়ে বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলার মধ্যে কোনওরকম পার্থক্য করা অসাংবিধানিক, বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এইসঙ্গে শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, ‘বৈবাহিক ধর্ষণে’র (Marital Rape) কারণেও গর্ভপাতের প্রয়োজন হতে পারে। ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ও ‘ধর্ষণ’ গর্ভপাতের ক্ষেত্রে। শীর্ষ আদালতে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া সত্বেও আদালতের এমন মন্তব্য উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।