সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: জাকির হোসেনকে দেখতে এসএসকেএমে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কথা বললেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। খোঁজ নিলেন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার। ঘটনার জন্য কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, “জাকিরের ভাগ্নে বলেছে রিমোটে বোমা ফাটানো হয়েছে। পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক। জাকির কমিটেড ছেলে। ওকে কদিন ধরেই দল ছাড়তে বলছিল কেউ কেউ। একসঙ্গে ৩০-৪০ জন থাকে সবসময়। তাই গুলি করে লাভ হবে না বুঝেই বোমা ছুঁড়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গুরুতর জখমদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সামান্য আহতরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা।
বুধবার রাতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেনকে (Jakir Hossain) লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তদন্তের দাবিতে সবর হয়েছিল সবমহল। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। বিস্ফোরণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছে বোম স্কোয়াডের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে যাবে সিআইডি। সেই কারণে ফরাক্কা-জঙ্গিপুর আজিমগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে নিমতিতা স্টেশন চত্বর। মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা থেকে জঙ্গিপুরের ওমরপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। প্রশ্ন করা হচ্ছে, মন্ত্রীর যাত্রার কথা থাকা সত্ত্বেও কেন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হল না। সব মিলিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জারি চাপানউতোর।
[আরও পড়ুন: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা? জানুন কী বলছে হাওয়া অফিস]
বুধবার রাতে কলকাতা যাওয়ার পথে নিমতিতা স্টেশনে জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গুরুতর জখম হন মন্ত্রী-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মন্ত্রীর হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি পায়ের একাধিক জায়গায় স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আজ বেলা দশটায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে তাঁর। এদিকে নিমতিতা (Nimtita) স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হল একজনের। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহটি জঙ্গিপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।