shono
Advertisement

Breaking News

স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, শোকস্তব্ধ টলিউড

‘মা যেন সবার মনে থাকেন’, জানাচ্ছেন শোকস্তব্ধ কন্যা সোহিনী।
Posted: 06:40 PM Jun 16, 2021Updated: 06:40 PM Jun 16, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষীয়ান অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর (Swatilekha Sengupta) প্রয়াণে শোকের ছায়া বাংলার সাংস্কৃতিক মহলে। বাংলা নাট্য ও চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতিমান এই অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে সেই শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

তাঁর শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘বিশিষ্ট অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায়  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। থিয়েটারে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শক চিরদিন মনে রাখবেন। স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘ধর্মযুদ্ধ’, ‘বেলাশেষে’, ‘বরফ’ ইত্যাদি। তিনি সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল থিয়েটার জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড-সহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় জগতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর স্বামী রুদ্রপ্রসাদ ও কন্যা সোহিনী সেনগুপ্ত-সহ তাঁর অগণিত অনুরাগী ও আত্মীয়স্বজন‌কে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’

[আরও পড়ুন: বান্দ্রার এই ফ্ল্যাটেই মিলেছিল সুশান্তের নিথর দেহ, অবশেষে মোটা অঙ্কে দেওয়া হচ্ছে ভাড়া]

মায়ের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন তাঁর কন্যা সোহিনী সেনগুপ্ত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ছিল। ম্যাসিভ কিডনি ফেলিওর হল। ২৫ দিন আইসিইউতে ছিলেন। আজ চলে গেলেন। সবাই আমাকে ফোন করছেন। তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। মা যেন সবার মনে থাকেন।’’

স্বাতীলেখার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন টলিউডের শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। সিঙ্গাপুর থেকে ফোনে ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-কে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘স্বাতীলেখা আন্টি চলে যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। একটার পর একটা খারাপ খবর। কী করে যে নিজের মনকে বোঝাব বুঝে উঠতে পারছি না। বেশ কিছুদিন ধরেই ওঁর শরীরটা খারাপ ছিল। সোহিনীর কাছ থেকে খবর নিচ্ছিলাম। এক বিরল অভিনেত্রী, অসামান্য ব্যক্তিত্ব, এক অদ্ভুত সুন্দর মানুষ ছিলেন উনি। নাটকের জায়গায় তো তিনি সম্রাজ্ঞীই। পরদাতেও ওঁর অভিনয় ছিল অত্যন্ত সাবলীল! এত অপূর্ব সব অভিব্যক্তি!’’ সেই সঙ্গে ‘বেলাশেষে’ ও ‘বেলাশুরু’ ছবিতে ওঁর সান্নিধ্যের কথাও বারবার উঠে আসে তাঁর স্মৃতিচারণায়।

বৃষ্টিস্নাত বাংলায় সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। তার মধ্যেই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মৃত্যুসংবাদ। সেই শোকের ছায়া দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। ‘ঘরে বাইরে’ ছবিতে ‘বিমলা’র চরিত্রে স্বাতীলেখার অভিনয় হোক কিংবা ‘বেলাশেষে’ ছবির অভিনয় অথবা ‘মাধবী’, ‘অজ্ঞাতবাস’ প্রভৃতি নাটকে ওঁর কাজের প্রসঙ্গ বারবার উঠে এসেছে দিনভর। তাঁর প্রয়াণে যে বাংলার নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের প্রভূত ক্ষতি হয়ে গেল সেকথাও লিখেছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন তিনি। ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। অবশেষে বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭১ বছরের অভিনেত্রী।

[আরও পড়ুন: বন্ধ স্কুল, শিশুদের মন ভাল করতে ‘ছোটদের সৌমিত্র’ অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির শর্মিলা ঠাকুর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement