সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় ৮ বছরের শিশু খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মেয়েকে খুনের নেপথ্যে ছিলেন খোদ বাবা। বাবাকে আত্মহত্যার হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়েই নাকি প্রাণ যায় তার।
এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত করতে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসে পৌঁছায় তাঁদের। জানা যায়, মেয়েকে খুনে অভিযুক্ত বাবা মহম্মদ ইকবাল খাতানাই। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি পেশায় গাড়িচালক। তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় নাকি নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছেন তিনি। ইকবালের দাবি, ঘটনা গত বুধবার সন্ধের। স্ত্রীর সঙ্গে তীব্র বচসার জেরে মন ভাল ছিল না তাঁর। তার জেরেই আত্মঘাতী হতে হাতে ছুরি তুলে নেন তিনি। কিন্তু বাবাকে আত্মঘাতী হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা করে ৮ বছরের শিশুকন্যা। ইকবালকে বাড়ি থেকে একা বেরতেও চেয়নি খুদে। আর তারই ‘শাস্তি’ পেতে হয় শিশুটিকে।
[আরও পড়ুন: গাধার দুধের সাবানে স্নান করলে ক্লিওপেট্রার মতো সুন্দরী হবেন! ভাইরাল মানেকা গান্ধীর ভিডিও]
ইকবাল একা বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর মেয়েও পিছু পিছু গিয়ে বাবার গাড়িতে চেপে বসে। এরপর মেয়েকে বাড়ি পাঠানোর নানা রকম চেষ্টা করেন ইকবাল। ১০ টাকার চকোলেটও কিনে দেন। তা সত্ত্বেও বাবাকে একা ছেড়ে আসতে রাজি হয়নি খুদে। কোনও উপায় না দেখে এরপর মেয়ের গলা টিপে ধরে ইকবাল বলে অভিযোগ। তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে শিশুটি। পরে তার গলার নলি কেটে একটি কাঠের গুদামের জন্য দেহ লুকিয়ে রাখেন ইকবাল। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে যান তিনি।
তাঁকে মেয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান। এমনকী নিজেই থানায় মেয়ের নিরুদ্দেশ হওয়ার রিপোর্ট লেখান। তবে পরে পুলিশ জানতে পারে, একাধিক লোক ইকবালের সঙ্গেই তাঁর মেয়েকে শেষবার দেখেছিল। এরপরই বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিশুর মৃত্যুর পাঁচ দিন পর পুলিশ জানতে পারে, সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করেছেন বাবাই।