সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রিত তাইওয়ান (Taiwan)। আর এতেই রেগে লাল চিন। বেজিংয়ের অভিযোগ, তাইওয়ানের ‘স্বাধীনতাকামী’দের মঞ্চে জায়গা দিচ্ছে ওয়াশিংটন। কমিউনিস্ট দেশটির হুঁশিয়ারি, এহেন কাজ থেকে যেন বিরত থাকে বাইডেন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: তাইওয়ানের স্বাধীনতার কথা বললেই অপরাধী তকমা, রাজনীতিবিদদের হুমকি চিনের]
গণতন্ত্র রক্ষা নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করছে আমেরিকা (America)। ডিসেম্বরের ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’তে আমন্ত্রিত ভারতও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আমন্ত্রিতের তালিকায় নেই চিন এবং রাশিয়ার নাম। অথচ গণতন্ত্রের আলোচনা সভায় আমেরিকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাইওয়ানকে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বরাবর তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসএবে দাবি করে আসছে চিন। এই বিষয়ে ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনা বিদেশমন্ত্রকের ঝাও লিজিয়ান বলেন, “তথাকথিত গণতন্ত্র সম্মেলনে তাইওয়ানের আমন্ত্রণের বিষয়এ আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমেরিকার কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী শক্তিগুলিকে মঞ্চ না দেয়।”
উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসের ৯-১০ তারিখ ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’ (Summit For Democracy) নামে ভারচুয়াল আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে আমেরিকা। বিশ্বে গণতন্ত্রকে কীভাবে মজবুত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই সভায়। মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হতে চলেছে। এক- একনায়কতন্ত্রের বিরোধিতা, দুই-দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, তিন-মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া। কিন্তু এমন এক আলোচনাসভায় চিন, রাশিয়ার মতো রাষ্ট্রের অনুপস্থিতি বিতর্ক বাড়িয়েছে। আমন্ত্রিতদের তালিকায় নেই মায়ানমার, আফগানিস্তানও। কিছুদিন আগেই গণতন্ত্রকে পদদলিত করে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এদিকে আফগানিস্তানও তালিবানের দখলে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব, আরহ আমিরশাহী। এরা সকলেই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু তাদেরও এই আলোচনাসভায় ডাকা হয়নি।
সেই আলোচনায় যোগ দিতে পারেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আসতে চলেছেন রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পরেই আমেরিকার আয়োজিত আলোচনাচক্রে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।