সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে ফের অরুণাচল প্রদেশকে নিজের বলে দাবি করল চিন। শুধু তাই নয়, আকসাই চিনও তাদের বলে দাবি করছে বেজিং। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জি-২০ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই সংঘাতের সুর শোনা গেল চিনের গলায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২৮ আগস্ট দেশের নতুন সরকারি ম্যাপ প্রকাশ করেছে চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশকে নিজের বলে দাবি করেছে তারা। আকসাই চিনও তাদের বলে দাবি করছে বেজিং। শুধু তাই নয়, গোটা দক্ষিণ চিন সাগর ও তাইওয়ানকেও মূল চিনা ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ওই ম্যাপগুলিতে অরুণাচলকে ‘দক্ষিণ তিব্বত’ বলে দাবি করেছে চিন৷ এবং তা চিনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলেও দাবি করছে চিনা বিদেশমন্ত্রক৷ নিয়মিত ভারতকে তারা তা মনেও করিয়ে দেয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই অঞ্চল দখলের অসমাপ্ত কাজ তারা সারতে চায় ২০৩৫ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে। আপাতত চলছে তারই রিহার্সাল। ভারতের সামরিক প্রস্তুতির সিংহভাগ এখন তাই চিনকেন্দ্রিক। কাশ্মীরের পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘এলএসি’ বরাবর চিনা উপস্থিতি।
[আরও পড়ুন: ব্রিকসের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় না পাকিস্তান! কী বলছে ইসলামাবাদ?]
উল্লেখ্য, ক্রমশ চরমে উঠছে চিনের (China) আগ্রাসী মনোভাব৷ দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে অরুণাচল৷ ড্রাগনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে সর্বত্রই৷ বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে আধিপত্যের লড়াইয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলার চেষ্টায় বিরাম নেই কমিউনিস্ট দেশটির৷ সীমান্ত সমস্যা, দলাই লামা ও পাক-চিন অর্থনৈতিক করিডর–এই তিন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সামিটে জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মোদি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, জিনপিংকে সাফ বার্তা দিয়েছেন মোদি। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখা কতটা দরকার, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জিনপিংকে বলেছেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখার সম্মান ধরে রাখা জরুরি। লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের আবহে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে হতে চলা জি-২০ সামিটেও আলোচনার টেবিলে দেখা যাবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে। তার আগেই সংঘাতের সুর শোনা গেল চিনের গলায়।