সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালীন ওলিম্পিক গেমস চলাকালীন চিনে (China) ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা মহামারী। কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না কোভিডকে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার আণুবীক্ষণিক জীবটির তাণ্ডব রুখতে ৩৫ লক্ষ মানুষকে কার্যত গৃহবন্দি করল বেজিং।
[আরও পড়ুন: তালিবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাদেনপুত্রের, আফগানিস্তানে কি ফের ষড়যন্ত্র রচনা আল কায়দার?]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, ভিয়েতনাম ও চিন সীমান্তে অবস্থিত একটি শহরে সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে বেজিং। দক্ষিণ গুয়াংসি প্রদেশের বাইসে নামের ওই শহরে বাস করেন অন্তত ৩৫ লক্ষ মানুষ। সম্প্রতি সেখানে ৭০জন মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তারপরই রবিবার থেকে শহরের মানুষকে জনকে অন্যত্র যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সোমবার অর্থাৎ আজ সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শহরের ডেপুটি মেয়র গু জুনয়ান জানান, শহরজুড়ে যান চলাচল ও লোকজনের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শহরে বাইরে থেকে কোনও গাড়ি না মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না। একইভাবে, কেউ শহর ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন না।
ভিয়েতনাম সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত বাইসে শহর। গত শুক্রবার সেখানে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। তারপর দ্রুত আক্রান্ত হন কমপক্ষে ৭০জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গণ করোনা পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। আক্রান্তদের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। বলে রাখা ভাল, সংক্রমণ রুখতে ভিয়েতনাম ও মায়ানমার সীমান্ত সিল করে দিয়েছে চিন। সূত্রের খবর, ওই দুই দেশ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কমিউনিস্ট দেশটি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের ইউহান শহর থেকেই প্রথম ছড়াতে শুরু করেছিল করোনা সংক্রমণ। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। শুরু হয় অতিমারী। কিন্তু চিন দ্রুত সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল। খুব বেশি করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের হার না থাকা সত্ত্বেও চিন (China) যেভাবে বাকি বিশ্বের থেকে নিজেদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে তা নিয়ে সমালোচনা হলেও এখনই ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরতে রাজি নয় বেজিং।