সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই নেপাল সফরে গিয়ে নয়াদিল্লি ও কাঠমাণ্ডু দীর্ঘদিনের সম্পর্কে কথা উল্লেখ করেছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। আগামী দিনেও নেপালের সবরকম প্রয়োজনে অতীতের মতো সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর দু’দিনের সফরের ফলে মানচিত্র বিতর্ক নিয়ে ভারত ও নেপালের মধ্যে যে টানাপোড়েন চলছিল তার সমাধান হবে বলেই মনে করছিলেন কূটনীতিবিদরা। বিষয়টি বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি নেপাল (Nepal) সফরে এসে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চিন সবরকম সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেং। নেপালের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর বিষয়েও আলোচনা করেন।
এপ্রসঙ্গে সোমবার কাঠমাণ্ডুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফেং (Wei Fenghe) বলেন, ‘নেপালের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সবরকম সাহায্য করবে চিন। এর পাশাপাশি নেপালের সেনাবাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয়েও সাহায্য করা হবে।’
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের মেঘ! পরমাণু বিজ্ঞানীর পর খুন ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার]
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, নেপালের নেতাদের সঙ্গে দু’দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফেং। উভয় দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতাবস্থা রক্ষার বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। আলোচনার সময় নেপালের সেনাবাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ওয়েই। এবিষয়ে নেপালের সেনাপ্রধান পূর্ণচন্দ্র থাপার সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর।
এই সমস্ত কিছুর ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সঙ্গে আলোচনার সময় নিজেদের অ্যাজেন্ডার কথাও বলতে ভোলেননি চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েই ফেং। তাইওয়ানের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক না রাখার বার্তা দিয়ে ‘এক চিন’ নীতি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বলেই নেপালের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।