সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পাকিস্তান। এবার সেই সুরেই সুর মেলাল চিন। কমিউনিস্ট দেশটির বক্তব্য, কাশ্মীর বিতর্কিত অঞ্চল। তাই সেখানে কোনও সম্মেলনে অংশ নেবে না তারা। পালটা, নয়াদিল্লির সাফ জবাব, নিজের ভূখণ্ডে যেখানে ইচ্ছে অনুষ্ঠান করবে ভারত।
শুক্রবার সংঘাতের শুরে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর বিতর্কিত ভূখণ্ড। সেখানে জি-২০ সম্মেলন আয়োজনের তীব্র বিরোধিতা করছি আমরা। কোনও বিতর্কিত ভূখণ্ডে এমন কোনও অনুষ্ঠানে চিন অংশ নেবে না।”
২০১৯-এর ৬ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়ার পর এটাই আন্তর্জাতিক স্তরের সবথেকে বড় সম্মেলন হতে চলেছে কাশ্মীরে। আগামী ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই সামিট। তবে কাশ্মীরে বৈঠক করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে বৈঠকে এবার অংশ নেবে না চিন এবং তুরস্ক। শ্রীনগরের বৈঠকের জন্য এখনও নাম নথিভুক্ত করেনি সৌদি আরব। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও কাশ্মীরেই সম্মেলন করে তাদের কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি।
[আরও পড়ুন: দু’হাজারের নোট ‘বন্দি’তে উদ্বেগে আমজনতা, স্তব্ধ রিজার্ভ ব্যাংকের ওয়েবসাইটও!]
এদিকে, জি-২০ সম্মেলনের (G20) মধ্যেই বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বৈঠকের আগেই কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কাশ্মীরকে (Kashmir)। একাধিক এলাকায় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে স্থানীয় প্রশাসন। বিশেষত শ্রীনগরে (Srinagar) নৌ কমান্ডো ও ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি গার্ডের দক্ষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সম্মেলনের কেন্দ্রের আশেপাশেও সর্বক্ষণ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী। সবমিলিয়ে ১০০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেন। গুলমার্গে একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অতিথিদের। কিন্তু আচমকাই তা বাতিল করে দেওয়া হয়। এর নেপথ্যে নিরাপত্তাজনিত কারণ নেই বলেই দাবি প্রশাসনের।