সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বিশ্বমানের জাদুঘর তৈরি করবে চিন। যেখানে একসঙ্গে ২০ লক্ষ দর্শনার্থী ঘুরতে পারবেন। জাদুঘরটি চিনের শেনঝেন এলাকায় তৈরি হতে চলেছে খুব শিগগির। আগামী একবছরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বনে মনে করা হচ্ছে। জাদুঘরটি তৈরি হয়ে গেল তা হবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য সম্পর্কিত শিক্ষার একটি বিশ্বমানের কেন্দ্র। এমনটাই জানিয়েছে, শেনঝেন প্রদেশের বনদপ্তর। মূলত শেনঝেন পুরনিগম ও সংশ্লিষ্ট বনদপ্তরের উদ্যোগেই তৈরি হচ্ছে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জাদুঘর।
[এবার হিন্দু রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াল রাষ্ট্রসংঘ]
জানা গিয়েছে, বিশ্বমানের এই ম্যানগ্রোভ জাদুঘরে থাকবে গবেষণাগার। যেখানে বিশ্বের ম্যানগ্রোভ বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনমতো গবেষণার সুযোগ পাবেন। ম্যানগ্রোভ গবেষণায় চিনেরও বিশেষ কৃতিত্ব রয়েছে। সেই কৃতিত্বসমূহের স্মারক ও যাবতীয় প্রমাণাদি প্রদর্শন-সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে জাদুঘরে। বিশ্বের যাবতীয় ম্যানগ্রোভ প্রজাতির দেখা মিলবে এই জাদুঘরেই। একাধারে জাদুঘরের পাশাপাশি এটি বিশ্বমানের ম্যানগ্রোভ শিক্ষা ও গবেষণাগার হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। থাকবে কনফারেন্স হল। যেখানে সেমিনার, সম্মেলনের আয়োজন করা যাবে। ম্যানগ্রোভ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনারও ব্যবস্থা থাকবে।
গতবছরেই প্রথম ম্যানগ্রোভ জাদুঘর তৈরি করে শ্রীলঙ্কা। বিবিধ প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে জন্যই জাদুঘরটি তৈরি হয়েছে। শ্রীলঙ্কার দেখাদেখি একই পথে হাঁটছে চিন। আগামী বছরের মধ্যেই বিশ্বমানের ম্যানগ্রোভ জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেবে চিন। তারপর ম্যানগ্রোভ গবেষণায় বড়মাপের পরিবর্তন আসবে এমনই আশা করছে বিশেষজ্ঞমহল।
লবণ সহনীয়তার ক্ষমতা রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের। মূলত উপকূলীয় অঞ্চল ও জলাভূমিতেই গড়ে ওঠে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। লবণাক্ত মাটির কারণে খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটে। মাটিকে ধরে রাখার আশ্চর্য গুণ রয়েছে ম্যানগ্রোভের। জোয়ারের ভেসে যাওয়া লবণাক্ত মাটি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য আদর্শস্থল।
[কোথায় সরস্বতী? পাক অধীকৃত কাশ্মীরে খণ্ডহর জ্ঞানচর্চার এই পীঠস্থান]
The post বিশ্বমানের ম্যানগ্রোভ জাদুঘরে একসঙ্গে ২০ লক্ষ দর্শনার্থী, কোথায় জানেন? appeared first on Sangbad Pratidin.