সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করতে সবসময়ই উদ্যোগী চিন (China)। তাদের একতরফা আগ্রাসনের জন্যই বারবার অশান্তি তৈরি হয়েছে সীমান্তে। তার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টে এই বিষয়টিই তুলে ধরা হল। তবে চিনা আগ্রাসনের পালটা কড়া জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
সোমবার ২০২১-২০২২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) পশ্চিম দিক থেকে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রতিবারেই পালটা জবাব দিয়েছে ভারত। কূটনৈতিক আলোচনা হোক বা সামরিক সংঘর্ষ-সমস্ত ক্ষেত্রেই জবাব দিতে দেরি হয়নি।
[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে গুরুতর অসুস্থ যাত্রী, পাকিস্তানে জরুরি অবতরণ ইন্ডিগো বিমানের]
বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বরাবর চিনের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে ভারত। তবে কেন্দ্র মেনেই নিয়েছে, চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই জটিল। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হলেও স্থায়ী সমাধানসূত্র মেলেনি। তবে প্রায় ১৯ বার বৈঠকের পর সীমান্ত থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছিল দুই দেশ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যদি দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ না মেটে, তাহলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ যদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তার প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে, ভারত-চিন যুদ্ধ ঠেকাতে সর্বোতোভাবে চেষ্টা করবে তারা।