সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গায়ের জোরে তিব্বত দখল করলেও তিব্বতিদের মন জয় করতে পারেনি চিন (China)। স্বাধীনতার দাবিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গায়ে আগুন দেওয়ার ছবি আজও গায়ে কাঁটা দেয়। তাই বিদ্রোহের আশঙ্কায় লাসার উপর সাঁড়াশি চাপ তৈরি করে ভিক্ষুদের মঠছাড়া করছে কমিউনিস্ট দেশটি।
[আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াচ্ছে লালফৌজ, দ্রুত চিনের হাতে আসবে এক হাজার পারমাণবিক অস্ত্র, দাবি রিপোর্টে]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তিব্বতের পার্শ্ববর্তী কুইংহাই প্রদেশের মঠগুলি থেকে বিক্ষুদের তাড়িয়ে দিচ্ছে চিন। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, গত ১ অক্টোবর ধর্মীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে একটি নয়া আইন আনে চিন। ওই আইনে বলা হয়েছে, নাবালকদের ভিক্ষু হিসেবে মঠে রাখা যাবে না। কোনও ধর্মীয় আচার আচরণে অংশ নিতে পারবে না তারা। তারপরই কুইংহাইর জাখিইউং-সহ অন্যান্য মঠ থেকে কমবয়সী সন্ন্যাসীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। মঠগুলিতে রীতিমতো নজরদারি চালাচ্ছে সরকারি আধিকারিকরা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিনা আধিকারিকের মতে, “অল্পবয়সী ভিক্ষুদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা আর মঠে ফিরতে পারবে না। সন্ন্যাসীদের মতো পোশাক পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তাদের সরকারি স্কুলে পাঠানো হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।”
জানা গিয়েছে, ধর্মীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আইনে জারি বিধিনিষেধের পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম লাগু করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিব্বতি ভাষায় পাঠদান করা যাবে না। প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট হুমকি দেওয়া হয়েছে, যারা এই নিয়ম মানবে না তাদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, কুইংহাই প্রদেশে তিব্বতি সংস্কৃতির অত্যন্ত শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। সেখানকার মঠগুলি ‘স্বাধীন তিব্বত’ আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। সেগুলির উপর দলাই লামার প্রভাব রয়েছে। ফলে সেই প্রভাব খর্ব করে ভবিষ্যতে বিদ্রোহের অঙ্কুর বিনষ্ট করতেই এই পদক্ষেপ চিনের।