অর্ণব আইচ: চিনে করোনার ভয়াবহতা অস্বীকার করেছে চিন সরকার। কলকাতার চিনা দূতাবাস কর্তার দাবি, সব পাশ্চাত্যের রটনা। বহাল তবিয়তেই আছে চিন। কোভিড নিয়ে সে দেশে কোনও আতঙ্ক নেই।
সামনেই চিনের চান্দ্রেয় নববর্ষ। এই বছরটি খরগোশের, যা নিয়ে আসে শান্তি ও সম্পদ। নতুন বছর উপলক্ষে বুধবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে চিনা কনসাল জেনারেল ঝা লিইউ জানান, গত বছরই চিন যথেষ্ট ভাল ভাবে করোনার (COVID-19) বিরুদ্ধে মোকাবিলা করেছে। শুধু পাশ্চাত্য দেশগুলিই কোভিড নিয়ে চিনের বিরূপ সমালোচনা ও রটনা করে চলেছে। চিনের বাসিন্দারা বুলেট ট্রেনে করেও যাতায়াত করছেন। তাঁরা কোনও সমস্যার মধ্যে নেই। মানুষের জীবনই প্রথম, এই পলিসিতে বিশ্বাস করে চিন। যদিও সম্প্রতি সে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, হাসপাতালে ভরতি করোনা রোগীদের মধ্যে একমাসে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। তা সত্ত্বেও চিনের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধানকে ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল, BJP বলছে ‘সাজানো’]
দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর ২২ জানুয়ারি চিনের নববর্ষ। এই উপলক্ষে বাইরের দেশে কর্মরতরা চিনে ফেরেন। চিনের কনসাল জেনারেল গত বুধবার রাতেই পরিবার-সহ রওনা দেন চিনের পথে। তার আগে ঝা লিইউ জানান, চিন ও ভারতের সীমান্ত কেন্দ্রিক সমস্যা মেটাতে দুই দেশই এগিয়ে এসেছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হচ্ছে। গত কয়েক বছরে ভারত ও চিনের (Indo-China) সম্পর্ক ভালই রয়েছে। তাতে কখনও কিছু সমস্যা দেখা দিলেও চিন আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, গত বছর ভারত ও চিনের মধ্য়ে ১৩৫.৯৮ ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর চিন। আঞ্চলিকভাবে ভারতের জন্য কাজ করতে উৎসাহী লাল ফৌজের দেশ। গত বছর পর্যন্ত সমস্যা ছিল। এই বছর চিন বিশ্বের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে। জি২০ নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছে চিন সরকার। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাঙালি ও চিনা শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। শিল্পী জেমস লিয়াওয়ের দল পরিবেশন করে চিনের বিখ্যাত ‘লায়ন ড্যান্স’।