সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শনিবার গভীর রাতে মঙ্গলপৃষ্ঠে (Mars) অবতরণ করেছিল বেজিংয়ের মঙ্গলযান তিয়ানওয়েন-১ (Tianwen-1)-এর জুরং নামের রোভার (Rover)। লাল গ্রহে তাদের প্রথম অভিযানেই এই সাফল্য নিঃসন্দেহে মহাকাশ অভিযানে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির পাশেই বসিয়ে দিয়েছে চিনকে। এবার জুরং তার কাজ শুরু করে দিল লাল গ্রহের মাটিতে। মঙ্গলের মাটি থেকে ছবি তুলে পাঠাল সে। চিনের মহাকাশ সংস্থা প্রকাশ করেছে সেই ছবি।
চিনের উপাস্য পৌরাণিক অগ্নিদেবতার নামানুসারে যার নামকরণ, সেই রোভারের পাঠানো প্রথম ছবিতে দেখা গিয়েছে লাল গ্রহের রুক্ষ জমির উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার সঙ্গে জুড়ে থাকা সোলার প্যানেল।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি থেকেই মঙ্গলের কক্ষপথে পাক খাচ্ছিল তিয়ানওয়েন-১। তখন থেকেই ঠিক ছিল ৩ মাস এভাবে মঙ্গলের চারপাশে চক্কর কাটতে কাটতে মে মাসে মঙ্গলের মাটি ছোঁবে চিনের রোভার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, রোভারকে সঙ্গে করে তিয়ানওয়েন-১-এর ল্যান্ডারটি ‘আতঙ্কের সাত মিনিট’ কাটিয়ে নিরাপদে মঙ্গলের মাটিতে নেমে আসে একটি প্যারাশ্যুটে করে। পূর্ব নির্ধারিত ‘ইউটোপিয়া প্ল্যানিশিয়া’ অঞ্চলেই নেমেছে সেটি।
[আরও পড়ুন: মহাকাশে ঐতিহাসিক কীর্তি চিনের, মঙ্গলের মাটি ছুঁল বেজিংয়ের রোভার]
অন্তত ৯০টি মঙ্গল দিবসে সেখানে ঘুরে বেড়াবে জুরং। এই দীর্ঘ সময়ে নানা নমুনা সংগ্রহ করবে সেটি। খতিয়ে দেখবে মঙ্গলপৃষ্ঠের গঠন। করবে বরফের সন্ধান। যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে আসে তবে সেটিকে বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণও করবে জুরং। মঙ্গল অভিযান নিয়ে অত্যন্ত উচ্চাশা রয়েছে চিনের।
দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কর্তা চি ওয়াংয়ের দাবি, তাদের এই মিশনই এপর্যন্ত মঙ্গলে যত অভিযান হয়েছে, তার মধ্যে সেরা হতে চলেছে। সৌরজগতের চার নম্বর গ্রহের আবহাওয়া, ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে দাবি তাঁর। এর ফলে লাল গ্রহ সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে। উল্লেখ্য, মার্কিন রোভার পারসিভিয়ারেন্স (Perseverance) মঙ্গলের মাটিতে নেমেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।