সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান ও তালিবান (Taliban)। একাধিক বিষয়ে ক্রমে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও চিন। এহেন পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতির জন্য ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তীব্রই আক্রমণ করলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
[আরও পড়ুন: ৯/১১ বর্ষপূর্তিতেই শপথগ্রহণ তালিবানের মন্ত্রীদের! আমেরিকার অস্বস্তি বাড়াতেই পরিকল্পনা?]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার প্রায় সাত মাস পর কথা বলেন বাইডেন (Joe Biden) ও জিনপিং। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনা যে দুই মহাশক্তির মধ্যে চলা ক্ষমতার লড়াই কিছুটা প্রশমিত করবে তা ভাবা ভুল। কারণ, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথোপকথনের সময় উত্তেজনার পারদ কিছুটা চড়েছিল বলেই খবর। এদিন ফোনে বাইডেনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে জিনপিং বলেন, “আমেরিকার চিন নীতির জন্যই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ খারাপের দিকে এগিয়েছে। এর ফলেই দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত গভীর সমস্যা তৈরি হয়েছে।” চিনের (China) সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ সূত্রে খবর, বাইডেনকে শি বলেন “দুই দেশ সংঘাতে গেলে এর ফল ভোগ করতে হবে বিশ্বকে। আবার দুই দেশ সহযোগিতা করলে সুফল পাবে দুনিয়া।”
এদিকে, হোয়াইট হাউস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোন আলোচনা হয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। দুই দেশের মধ্যে চলা প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতের রূপ না নেয়, সেই বিষয়ে চিনা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন-সহ একাধিক বিষয়ে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন বাইডেন। একইসঙ্গে, বিশ্বে শান্তি, উন্নতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিকে আমেরিকার দায়বদ্ধতার কথাও তুলে ধরছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। বিগত জি ৭ বৈঠকের মঞ্চেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Baiden) মুখে শোনা গিয়েছে সংঘাতের সুর। এবার দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার সামরিক পদক্ষেপে সেই সুর আরও চড়বে। ফলে সংঘাতের দিকে আরও এগিয়ে যাবে দুই দেশ।