বাবুল হক, মালদহ: চিনা ‘চর’কে নিজেদের হেফাজতে নিল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ (STF)। আদালতের নির্দেশে মালদহে অনুপ্রবেশকারী হান জুনেই আগামী ১০ দিন এসটিএফের হেফাজতে থাকবে। তদন্তের স্বার্থে তাকে কলকাতা নিয়ে আসারও ভাবনাচিন্তা চলছে।
১৮ তারিখ হানকে আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার মালদহ পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। চিনা অনুপ্রবেশকারীকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা। ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল এসটিএফ। তাঁদের আবেদনে মঞ্জুর করেন বিচারপতি। এর পর হানকে মালদহের পুলিশ ফাঁড়ি বা এসটিএফের অফিসে রেখে জেরা করা হবে নাকি কলকাতায় নিয়ে আসা হবে তাকে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: সুনীল সিংকে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই তৃণমূলে যোগ তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই প্রাক্তন কাউন্সিলরের]
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পেরিয়ে মালদহ দিয়ে অনুপ্রবেশের সময়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিল বছর ছত্রিশের চিনা (China) নাগরিক হান জুনেই। তাকে দিন দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদের পর তুলে দেওয়া হয় কালিয়াচক পুলিশের হাতে। আপাতত ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন হান। আর তার মধ্যেই তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সবটা বুঝে নেওয়ার লক্ষ্যে এগোতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু বাধা হয়ে উঠছে অনেক কিছুই। তার মধ্যে অন্যতম তার ল্যাপটপ এবং আই-ফোনের পাসওয়ার্ড উদ্ধার না হওয়া। ফলে সেসব থেকে কোনও নথিই পাওয়া যাচ্ছে না, যা তদন্তে সাহায্য করতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, হানের ল্যাপটপ ও আই-ফোনের পাসওয়ার্ড মান্দারিন ভাষায়। তাই ওই ভাষা জানা ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ। নাহলে কোনওভাবেই ল্যাপটপ বা আই-ফোন খোলা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এবার তাকে জেরার পাশাপাশি এসটিফ যে এই ল্যাপটপ, ফোনও খোলার চেষ্টা করবে তা বলাইবাহুল্য. কারণ তদন্তকারীদের ধারনা, হান রহস্য সমাধানের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে এই বৈদ্যুতিন যন্ত্রগুলিতেই।