সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোপড়ায় এক যুগলের উপর তালিবানি অত্যাচার নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে তীব্র ধিক্কার জানালেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)। সমালোচনায় মুখর হলেন অভিনেতা রাহুল অরুণদোয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Rahul Arunoday Banerjee)। বিষয়টি 'মধ্যযুগীয় বর্বরতা' বলে ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
ফাইল চিত্র
ঘটনার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছেন মূল জেসিবি ওরফে তাজিমুল ইসলাম (ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে)। চারপাশে বহু মানুষ তা দেখছেন। কিন্তু তা নিয়ে কেউ কোনও প্রতিবাদ করছে না। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। তার পর গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।
[আরও পড়ুন: গোমাংস বিতর্ক: ‘জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার’ হুমকি! ‘রাজনৈতিক রং দেবেন না’, প্রতিক্রিয়া সুদীপার]
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, "এরকম কোনও সাইকোপ্যাথ কোনও অঞ্চলে যদি থাকে তাহলে খুব মুশকিল। তাদের যা ইচ্ছে করতে পারে। যে কোনওভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তারা কারও কথা শোনে না। তাদের পুনর্বাসন হয় না। তারা শোধরায় না, পালটায় না। তারা এক থাকে অবং এই ধরনের অন্যায় কাজগুলো করতে থাকে সে এটাই তার স্বভাব...এর একটা চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত।"
ফাইল চিত্র
তারকা জানান, মধ্যযুগীয় বর্বরতার নজির আগেও আছে। এই প্রসঙ্গে তিনি উত্তরপ্রদেশের উদাহরণও দেন। এর পরই আবার বলেন, "আমি এর চরম শাস্তি দাবি করছি।" বিষয়টি খুব ভালোভাবে না জানলেও অল্প কথায় নিজের মতামত জানিয়েছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেতা বলেন, "এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা মনে হয়েছে। আমার ধারণা এটা পাওয়ার ট্রিক। শক্তির নেশা, শক্তি প্রদর্শনের একটা নেশা থেকেই এগুলো চালিত হয়।"
ফাইল চিত্র