সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গের ঘটনা অবলম্বনে ভবিষ্যতে হিন্দি ছবি তৈরি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই পরিস্থিতি সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও হার মানায়। আশার কথা, দুঃস্বপ্নের অবসান হতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে ১২ দিনের মাথায় সূর্যের আলো দেখবেন ওঁরা। প্রশ্ন হল, অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভিতরে কীভাবে এতগুলো দিন কাটালেন ওই শ্রমিকরা?
প্রথমেই বুঝে নেওয়া দরকার, স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধ গহ্বরে এত দিন কাটাতে দরকার চূড়ান্ত মানসিক শক্তি। জানা গিয়েছে, উদ্বেগ, অবসাদ, আতঙ্ক ও মৃত্যুভয় ভুলতে সুড়ঙ্গের ভিতর চোর-পুলিশ খেলতেন শ্রমিকরা, তাসও খেলতেন। খাবারের পাশাপাশি পাইপ লাইনে ওই তাস পাঠিয়েছিল উদ্ধারকারীরা। তথাপি দিনর পর দিন সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকায় মানসিক ভারসাম্যের সমস্যা দেখা দিতেই পার। সে কথা ভেবে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি এবং সি ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছিল ভিতরে।
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, সুড়ঙ্গের ভিতরে গত কদিন অক্সিজেন, খাবার, ওষুধ ছাড়া যা পাঠানো হয়েছিল, তা হল খৈনি। ৪০ জন শ্রমিকের মধ্যে অনেকের খৈনির নেশা রয়েছে। কোনওভাবেই যাতে তাঁদের মধ্যে উইড্রয়াল সিনড্রম না দেখা দেয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। গোটা উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার প্রেম পোখরিওয়াল। তিনি জানান, তাঁরা নির্দেশে শ্রমিকর মাঝেমাঝেই চিৎকার করে বলতেন ‘আমি শক্তিমান’। সবটা মিলিয়েই সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকরা মোটের উপর ভালো আছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মণিপুরের UFO কি চিনের গুপ্তচর বেলুন? ভিডিও ঘিরে জল্পনা]
তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গের কাছেই তৈরি হয়েছে বিশেষ হাসপাতাল। রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স, ডাক্তার, অক্সিজেন-সহ চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। আপাতত প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে গোটা দেশ। যে কোনও মুহূর্তে ১১ দিন পর সূর্যের মুখ দেখবেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিক।