সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে, সেটা আসলে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে বাইপাস সার্জারি করার মতো। বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের। তাঁর বক্তব্য, যে অস্ত্রে তাঁকে সরানোর চেষ্টা হয়েছে, সেটা আসলে মরচে ধরা।
বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ধনকড়ের বক্তব্য, "উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। সেই প্রস্তাবের ভাষা আপনাকে চমকে দেবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর বলেছিলেন, বাইপাস সার্জারির জন্য সবজি কাটার ছুরি ব্যবহার করা উচিত নয়।" উপরাষ্ট্রপতি বলছেন, "আমার বিরুদ্ধে যে অনাস্থা আনা হয়েছে সেটা সবজি কাটার ছুরিও নয়। এটা মরচে ধরা ছুরি। ওই নোটিসের ভাষা দেখে আমি স্তম্ভিত। মনে হয় কেউ বড্ড তাড়াহুড়ো করে লিখেছিল। বস্তুত, ধনকড় বোঝাতে চাইলেন তাঁর বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সেটা একেবারেই পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়।
গত ১০ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিক অন্যান্য বিরোধী দলগুলি সমর্থন করে এই প্রস্তাব। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনে বসে লাগাতার পক্ষপাত করে চলেছেন ধনকড়। বিরোধী সাংসদদের কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধীরা কথা বলতে উঠতে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানানো হলেও তা মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে, শাসকদলের সাংসদদের সব দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। লাগাতার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির সংবিধানের ৬৭(বি) ধারায় উপরাষ্ট্রপতি তথা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে।
কিন্তু মাত্র ৯ দিনের মাথায় সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ জানান, নিয়ম অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব পেশের আগে ১৪ দিনের নোটিস দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম পালন করা হয়নি। শুধু তাই নয়, পেশ হওয়া অনাস্থা প্রস্তাবে উপরাষ্ট্রপতির নামের বানানও ভুল ছিল। পদ্ধতিগত এই ত্রুটির জন্য হরিবংশ ওই প্রস্তাব খারিজ করে দেন।