সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোগ আর লালসার কারণেই কেরলে ১৬ বছরের মেয়েটির ধর্ষণ করা হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে ক্যাথলিক সভা সমর্থিত কেরলের একটি ম্যাগাজিন। পাশাপাশি ধর্ষণের কাণ্ডে আক্রান্ত কিশোরীকেই অভিযুক্ত করেছে পত্রিকাটি। তাদের মতে, সব দোষ ওই কিশোরীর। চার্চের ফাদারের কোনও দোষ নেই।
কয়েকদিন আগে কেরলের কান্নুরের সেন্ট সেবাস্টিয়ান চার্চের ফাদার রবিন ওরফে ম্যাথুউ ভাদাক্কানচেরিলের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। যে কারণে পরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এরপরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে সন্তানেরও জন্ম দেয় সে। কিন্তু কিশোরীকে না জানিয়েই অনাথ আশ্রমে দিয়ে আসা হয় শিশুটিকে। ঘটনায় চার্চের ফাদার-সহ আরও সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফাদার রবিনকে সাহায্য এবং প্রকৃত ঘটনা লুকানোর জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তবে রবিবার ‘সালোম’ নামে সাপ্তাহিক ক্রিষ্টান পত্রিকার দাবি অনুযায়ী, ধর্ষণ আটকাতে পারত ওই কিশোরী। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘মেয়েটির বয়স মাত্র ১৫ বছর। তোমাকে নিজের মেয়ের মতো মনে করে বলছি, তোমারও দোষ রয়েছে। ভগবানের সামনে তোমার উত্তর দিতে হবে। কেন তুমি ভুলে গেলে কে ধর্মযাজক? তিনিও একজন মানুষ। তাঁর শরীরেও উত্তেজনা রয়েছে। তিনি হয়তো কিছু সময়ের জন্য নিজের স্থান ভুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তুমি কেন এটা করলে? কেন তুমি তাঁকে আটকাওনি বা তাঁর ভুলটা ধরিয়ে দাও নি? যদিও চার্চের পক্ষ থেকে আক্রান্ত কিশোরী এবং তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
The post ধর্ষণে বাধা দেওয়া উচিত ছিল কিশোরীর, ফাদারের সমর্থনে চার্চ appeared first on Sangbad Pratidin.