সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াগনার বিদ্রোহে আমেরিকার কোনও হাত নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। শুক্রবার এই বিষয়ে রুশ গুপ্তচর সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিসকিনকে ফোন করেন সিআইএ ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নস।
গত শনিবার আচমকা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তাঁর অভিযোগ ছিল মাতৃভুমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন রুশ সামরিক কর্তারা। এরপরই মস্কোর দিকে এগোয় ওয়াগনার বাহিনী। এই প্রেক্ষিতেই বিদ্রোহে মদত দেওয়ার আঙ্গুল ওঠে আমেরিকার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ওয়াগনার বিদ্রোহে আমেরিকা বা ন্যাটোর কোনও হাত নেই। এবার ক্রেমলিনকে আশ্বস্ত করল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থাও।
শুক্রবার রুশ গুপ্তচর সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিসকিনকে ফোন করেন সিআইএ ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নস। তিনি বলেন, “গত সপ্তাহে যে বিদ্রোহ হয়েছিল তাতে আমেরিকার কোনও হাত নেই। ”
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মুখোশ খুলল ইজরায়েল, ইহুদি ধনপতিদের হত্যার ছক আইএসআইয়ের]
উল্লেখ্য, ‘সেনা অভ্যুত্থান’ থমকে যাওয়ায় আপাতত স্বস্তিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। কিন্তু রাশিয়ার (Russia) ভাড়াটে সেনার এই বিদ্রোহের কথা আগেই জানত আমেরিকা! মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি অন্তত তেমনই ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর ছিল ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়ায় যে চাঞ্চল্য তৈরি হতে চলেছে, তা জানতে পেরে গিয়েছিল হোয়াইট হাউস।
শুধু তাই নয়, জুনের মাঝেই নাকি প্রিগোজেনের ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন সিআইএ কর্তারা। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই বিদ্রোহের পিছনে কি রয়েছে আমেরিকার উসকানি? কিন্তু এদিন সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সিআইএ।
প্রসঙ্গত, বিদ্রোহ ঘোষণার পর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল রুশ প্রশাসনের। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিছু হটে যায় ওয়াগনার বাহিনী। আপাতত আর বিদ্রোহের কোনও আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। কিন্তু আগামী দিনে পুতিন ও প্রিগোজিন সংঘাত কোন দিকে এগোবে তা পরিষ্কার নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে এর কী প্রভাব পড়তে পারে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।