সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিরাট পরিবর্তন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বাক্ষর করেছেন এক বিশেষ আদেশনামায়। সেই আদেশনামা অনুযায়ী, এবার আমেরিকায় ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে হলে দিতেই হবে নাগরিকত্বের প্রমাণ। একজন প্রেসিডেন্টের হাতে এতটা ক্ষমতা নেই, এমন দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা। এরই পাশাপাশি ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তৃতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও করার কথা ভাবছেন তিনি। এবং এটা কোনও রসিকতা যে নয়, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে আমেরিকায়।
যদিও ট্রাম্প এই মুহূর্তে যে পরিবর্তনগুলি করতে চাইছেন তার মধ্যে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ সংক্রান্ত কোনও পরিবর্তনের কথা বলা নেই। তবু তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তৃতীয়বার মসনদে বসার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র একবারই আমেরিকার ইতিহাসে কোনও প্রেসিডেন্ট তিনবার মসনদে বসেছেন। কিন্তু তারপর আইন করে বিষয়টি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, কোনও প্রেসিডেন্ট ৪ বছরের মেয়াদ হিসেবে দু'বার মসনদে বসতে পারবেন। সেটা পরপর হতে পারে, নাও পারে। কিন্তু কোনওভাবেই তা সব মিলিয়ে ৮ বছরের সময়সীমাকে অতিক্রম করতে পারবে না। এই নিয়মই এবার বদলাতে চাইছেন ট্রাম্প। যদিও এমনটা করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন করতে হবে।
আর সেবিষয়ে বলতে গিয়ে ট্রাম্প জানাচ্ছেন, ''না, আমি রসিকতা করছি না, মোটেই নয়।'' জোরের সঙ্গে একথা বলেও অবশ্য তিনি জানাচ্ছেন, ''এখনই এই নিয়ে বলা যাবে না। ব্যাপারটা অনেক দূরবর্তী। তবে পদ্ধতি আছে, যা প্রয়োগ করে এটা করা যায়।'' ঠিক কী পরিকল্পনা করছেন তিনি তা অবশ্য বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা খোলসা করেননি। তবে তাঁর এমন মন্তব্যের পর থেকেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পুতিন, কিমের মতোই ট্রাম্পও ক্ষমতার 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' করতে চাইছেন? আপাতত সেই বিতর্কেই মশগুল মার্কিন রাজনীতির অন্দরমহল।