শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: গরু পাচার মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) পাশাপাশি এবার কড়া পদক্ষেপ নিল সিআইডি। মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের তিন ভাগ্নের বিরুদ্ধে পুরনো এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আদালত। সিআইডি-র (CID) আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ জারি করে আদালত। এনামুলের তিন ভাগ্নে – জাহাঙ্গির কবীর, হুমায়ুন কবীর ও মেহেদি হাসান দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, সূত্র মারফৎ এই তথ্য জানতে পেরে জঙ্গিপুর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। পাশাপাশি এনামুলকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিআইডির তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, যোগ দেবেন প্রয়াত শিনজো আবের শেষকৃত্যে]
২০১৯ সালে গরু পাচারের (Cattle smuggling Case) এক মামলায় নাম জড়িয়েছিল জাহাঙ্গির কবীর, হুমায়ুন কবীর ও মেহেদি হাসানের। সম্পর্কে এরা সকলেই এনামুল হকের (Enamul Hoque)ভাগ্নে, বাড়ি লালগোলায়। রঘুনাথগঞ্জের ওমরপুরে বিলাসবহুল এক হোটেলের ব্যবসা ছিল এদের। সূত্রের খবর, সেই হোটেলের আড়ালেই গরু পাচার চলত। সেসময় রঘুনাথগঞ্জ থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তদন্তভার যায় সিআইডির কাছে। যার জেরে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে ছিল জাহাঙ্গির, হুমায়ুন ও মেহেদি। কিন্তু বারবারই তদন্তকারীদের হাত ফসকে পালাতে সক্ষম হয় তারা।
পরবর্তী সময়ে গরু পাচার মামলায় মামা এনামুল হক (সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই হোটেল রাতারাতি বন্ধ করে মার্বেল কারখানা হয়। তদন্তকারীরা সেখানে হানা দিয়ে কারখানাটি সিল করে দিয়েছিলেন। এছাড়া তালাই ও পলসন্ডায় তাদের ধানকলও ছিল। তাও সিল করে দেওয়া হয়। এরপরই এনামুলের তিন ভাগ্নে – জাহাঙ্গির কবীর, হুমায়ুন কবীর ও মেহেদি হাসান পালিয়ে যায় দেশ ছেড়ে। সূত্রের খবর, তারা প্রথমে দুবাইয়ে (Dubai) গা ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সিআইডি সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছে, তিনজন বাংলাদেশে (Bangladesh) রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে নাগালে পেতে চায় সিআইডি। রাজ্য তদন্তকারী সংস্থার সেই আবেদন মেনে জঙ্গিপুর আদালত তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বৃহস্পতিবার।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশে দ্রুত পদক্ষেপ, ১৮৫ জন চাকরি প্রার্থীকে সুপারিশপত্র প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের]
সিবিআইয়ের পাশাপাশি এবার সিআইডির নজরে এনামুলও। আপাতত দিল্লির তিহার জেলে বন্দি সে। আর সেখানে গিয়েই তাকে জেরা করতে চান সিআইডির তদন্তকারীরা। মামা-ভাগ্নেদের তত্বাবধানে কীভাবে গরু পাচার চলত, আর কারা জড়িত – তদন্তের কিনারায় এসব বিস্তারিত জানতে চায় সিআইডি।