সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সিবিআইয়ের (CBI) পালটা সিআইডি (CID)। কয়লা পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সক্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাও। বেআইনি কয়লা পাচারের (Coal scam) কিনারা করতে তদন্তভার নিয়েই অভিযানে নেমেছেন সিআইডি তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে তাঁরা একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। শুক্রবার সকালে সিআইডির ডিআইজি অনুরাগ ঠাকুরের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল ইসিএলের কাজোড়া এরিয়া অফিসে হানা দেয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ তাঁরা অফিসের একাধিক আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ইসিএলের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
অন্য আরেকটি দল সেসময় অন্ডালের কাজোরা এরিয়ার লছিপুর, হরিশপুর, তালডাঙা, জে কে রোপওয়ে, বক্তারনগর এলাকাগুলিতে অবৈধ খাদানগুলি পরিদর্শন করেন । স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন সিআইডির আধিকারিকরা। সিআইডি ডিআইজি অনুরাগ ঠাকুর জানান, “বিভিন্ন সময়ে বেআইনি কয়লা পাচার ও চুরির অভিযোগ করেছিল ইসিএল। সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতেই অবৈধ কয়লা কারবারের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথাও বলব আমরা।”
[আরও পডুন: ‘রথযাত্রায় সবাই নাচবে, তারপর আমি খেলা দেখাব’, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি অনুব্রত মণ্ডলের]
সিআইডি তদন্তকারীদের পাশাপাশি এদিন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশকেও দেখা গেল কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়তে। কুলটি থানার নতুন ওসি অসীম মজুমদার দায়িত্ব পেতেই অভিযানে নামলেন। কুলটির নিয়ামতপুর এলাকা থেকে প্রায় ১০০ টন অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে পুলিশ। বেআইনি কয়লার ডিপোতে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য মিলেছে। কুলটি থানা আধিকারিক খবর পায় কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরঙ্গি ফাঁড়ি এলাকায় দু’নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এক কারখানায় প্রচুর পরিমাণ অবৈধ কয়লা মজুত রয়েছে। সেই মতো কুলটি থানার পুলিশ চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই কয়লা প্রায় উদ্ধার করে। এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। তবে এত পরিমাণ কয়লা কোথা থেকে এল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পডুন: প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে ৬০ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেপ্তার মহিলা আইনজীবী]
অন্যদিকে, শুক্রবার জামুড়িয়াতে সিবিআইয়ের একটি দল জামুড়িয়ায় হানা দেয়। মূলত জামুড়িয়ার শ্রীপুর এরিয়া এলাকায় পনিহাটি, চেলোদ, নণ্ডী এলাকায় বৈধ ও অবৈধ খনি এলাকায় তাঁরা তল্লাশি করেন। নিঘা কোলিয়ারি এলাকায় তাঁরা ইসিএল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পাচারকাণ্ডে জড়িতদের জালে আনার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।