গোবিন্দ রায়: লালন শেখ মৃত্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আরজি খারিজ। আপাতত তদন্ত করবে সিআইডি-ই, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। কীভাবে মৃত্যু হল লালনের, সেটাই বড় প্রশ্ন। সিবিআই আধিকারিকরা আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে লালনকে। লালনের মৃত্যুতে আদালতে মামলা দায়েরও হয়েছে। এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সিআইডি ও সিবিআইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল ও আছে। বগটুইয়ের ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্তের আরজি জানাচ্ছি।” সোমবার সেই মামলার শুনানি শেষ হলেও বাকি ছিল রায়দান।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি! চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার]
বুধবার সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সিআইডি তদন্ত বহাল থাকবে বলেই জানানো হয়েছে। অর্থাৎ তদন্ত যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ ভাদু শেখকে তার বাড়ির সামনে খুন হতে হয়। খুনের সময়ও ভাদু লালনের কাছে ছিল। ভাদু খুনের পালটা বগটুই গ্রামে গণহত্যা চলে। অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ১০ জনের। এমনকি পরেরদিন সকালেও গ্রামে যেতে সাংবাদিকদের বাধা দেয় লালন। সেই অগ্নিকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ন’মাস পরে ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার হন লালন। তার ৯দিনের মাথায় সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় লালনের। নিহতের স্ত্রীর দাবি, খুন করা হয়েছে লালনকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সিআইডি।