সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ার পরেও ১৭টি দৃশ্যে কাঁচি! চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত নিল সদ্য মুক্তি পাওয়া মালয়ালম ছবি এল ২ এমপুরান। গুজরাট দাঙ্গা অবলম্বনে তৈরি হওয়া ছবিতে যেন কোনও সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত না লাগে, সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত ছবির নির্মাতাদের। উল্লেখ্য, ছবিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এল ২ এমপুরানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি-আরএসএস। পালটা মুখ খুলেছে কংগ্রেসও।

সূত্রের খবর, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি হওয়া সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেলেও সেখান থেকে ১৭টি দৃশ্য বাদ দেওয়া হবে। মূলত নারী নির্যাতন এবং দাঙ্গার দৃশ্যগুলিতেই কাঁচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতারা। এছাড়াও সিনেমার প্রধান খলনায়ক বাবা বজরঙ্গির নাম পালটে ফেলা হবে। মিউট করে দেওয়া হবে বেশ কিছু সংলাপও। আগামী সপ্তাহে ফের হলে মুক্তি পাবে মালয়ালম ছবিটি। 'ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী'- এমন বার্তাও দেওয়া হয়েছে মোহনলালের তরফে।
মোহনলাল, পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের মতো তারকাসমৃদ্ধ এল ২ এমপুরান মুক্তি পেয়েছে বৃহস্পতিবার। তারপরেই আরএসএস মুখপাত্রে ছবিটির তীব্র সমালোচনা হয়। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়, "এল ২ এমপুরান কেবল নিম্নমানের সিনেমা নয়, ধর্ম-রাজনৈতিক বহুত্ববাদ এবং সামঞ্জস্য বজায় রেখে ছবি তৈরির সত্ত্বায় বড়সড় আঘাত।" ছবির দুই প্রধান তারকা মোহনলাল, পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্যে ভরে যায় সোশাল মিডিয়া। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার নেতা কে গণেশ সাফ বলেন, পৃথ্বীরাজের বিদেশি যোগের তদন্ত করা উচিত। তাঁর সমস্ত ছবিই নাকি দেশদ্রোহিতার বার্তা দেয়।
বিজেপি যদিও সরাসরি এই সিনেমা নিয়ে কিছু বলেনি। তবে গেরুয়া শিবিরের নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, "সিনেমাকে সিনেমা হিসাবেই দেখা উচিত, ইতিহাস হিসাবে নয়। তবে কোনও সিনেমা যদি সত্যকে বিকৃত করে তৈরি করা তাহলে সেটা ব্যর্থ হতে বাধ্য। যদিও এল ২ এমপুরানকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের মতে, এই সিনেমার সমালোচনা আসলে সঙ্ঘ পরিবারের অসহিষ্ণুতার প্রমাণ। 'দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' এবং 'এমার্জেন্সি'র মতো ছবিগুলি যেহেতু কংগ্রেসকে সমালোচনা করেছে, তাই সেই সিনেমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি।