সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে তৎপর ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (FCTWEI)। সম্প্রতি যৌন হেনস্তা এবং অশালীন-অনৈতিক আচরণের ঘটনা রুখতে, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের রক্ষাকবচ হিসেবে ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। লিখিতভাবে বা ইমেলের মাধ্যমে যেখানে অভিযোগ জানানো যাবে। আর এবার এই বিষয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস।
এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্বরূপ বিশ্বাস জানালেন, ''অভিযোগকে যদি শতাংশে আনা হয়। তাহলে বলব, ৪০ শতাংশ যৌন হেনস্তার অভিযোগ এসেছে প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। আর ৬০ শতাংশ অভিযোগ রয়েছে পরিচালক এবং পরিচালক থেকে প্রযোজক হয়েছে এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যে তিনটি অভিযোগ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, ভুক্তভোগীরা যদি সুরক্ষা বন্ধুতে অভিযোগ করে, তাহলে অবশ্যই সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের আইনজীবীরা বিনামূল্য়ে সেই মামলা লড়বেন। ''
[আরও পড়ুন: ‘বিবেক-শিক্ষা হারিয়েছিস! নির্লজ্জ কমেডি…’, বন্ধু কাঞ্চন মল্লিককে ‘ত্যাজ্য’ করলেন সুদীপ্তা]
গত শুক্রবার তারিখ সুরক্ষা বন্ধু 'কমিটি' নিয়ে বলতে গিয়ে স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়ে ছিলেন, ''সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে শতাব্দী-প্রাচীন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে বিব্রতকর, অনৈতিক, লজ্জাজনক অভিযোগ উঠছে কয়েকজন মহিলা অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলীদের কাছ থেকে। এই অভিযোগ বিরল ও ব্যতিক্রম হলেও চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তি যে অনৈতিক ও অশালীন ব্যবহার করেছেন তা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়।''
এর পরই ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটির কথা ঘোষণা করে জানানো হয়, বিভিন্ন গিল্ডের সদস্যদের মধ্যে থেকে মহিলা প্রতিনিধিদের নিয়ে ফেডারেশন একটি কমিটি বা নির্বাহী সমিতি প্রতিষ্ঠা করছে। কর্মক্ষেত্রের যেকোনও জায়গায়, শুটিং বা প্রি পোডাকশন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ করতে গিয়ে মহিলা সদস্য যদি কোনওরকম লিঙ্গবৈষম্যমূলক আচরণ, অশালীন ইঙ্গিত বা আচরণ, যেকোনও প্রকার অরক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়েন বা যেকোনও বৈদ্যুতীন মাধ্যম (যেমন মোবাইল ফোন ইত্যাদি) ব্যবহার করে তাঁদের কেউ উত্যক্ত করার চেষ্টা করে তাহলে তৎক্ষণাত সেই সদস্য সুরক্ষা বন্ধু কমিটিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন। মেল আইডি surokkhabandhu.fctwei@gmail.com।
ফেডারেশন ইতিমধ্যেই মুখ্য নগরপাল ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে কমিটি গঠনের কথা লিখিতভাবে জানিয়েছে। কমিটিতে আইনজীবীরাও অন্তর্ভুক্ত। নিগৃহীত কলাকুশলী বা অভিনেত্রীর ঠিক কী করণীয়, সেই পরামর্শ তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে। অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন থাকবে এবং যদি তাঁর আইনি লড়াই লড়ার মতো আর্থিক পরিস্থিতি না থাকে তাহলে ফেডারেশন তা বহন করবে। বি পি পোদ্দার হাসপাতাল ও মেডিক্যাল রিসার্চ গ্রুপের সিইও এই কমিটির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। অভিযোগকারিণীর মানসিক বা অন্য কোনও প্রকার চিকিৎসাগত সাহায্যের প্রয়োজন হলে তা তাদের পক্ষ থেকে করা হবে।
