সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরশেষে টলিপাড়ায় দুঃসংবাদ। প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার রাত ৮ টা বেজে ৪০ মিনিটে বাঙুর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। 'ধন্যি মেয়ে' খ্যাত এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগৎ।
১৯৪২ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জন্ম কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের। বরাবরই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ ছিল। ১৯৬৮ সালে 'আপনজন' সিনেমার হাত ধরে বিনোদনজগতে প্রবেশ করেন তিনি। একের পর এক ছবিতে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। সত্যজিৎ রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মহানায়ক উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কাজ করেছেন। শুধু টলিউড নয়, বলিউডের ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। সুজয় ঘোষের 'কাহানি' ছবিতে বিদ্যা বালানের সঙ্গে কাজ করেছেন কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির মতো অভিনেতার সঙ্গেও পর্দায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সবমিলিয়ে কয়েকশো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। 'সাগিনা মাহাতো', 'ধন্যি মেয়ে', 'সফেদ হাতি' তাঁর কেরিয়ারের উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে কয়েকটি।
কয়েকবছর আগেও টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিকে চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। তবে গত কিছুদিন ধরেই বার্দ্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। রবিবার রাত ৮ টা বেজে ৪০ মিনিটে বাঙুর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বর্ষীয়ান এই তারকার প্রয়াণে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়। ইতিমধ্যেই আর্টিস ফোরামের তরফে মৃতের পরিবারকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাত দেড়টা নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
