সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়াকে নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে স্থিতিশীল হলেও সংকটমুক্ত হচ্ছেন না অশীতিপর নেত্রী। ঢাকার হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওষুধ বা চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না। নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁর কোনও জটিলতাই কাটেনি, স্বাস্থ্যের উন্নতি অধরা। এই পরিস্থিতিতে গভীর চিন্তায় চিকিৎসকরাও। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় তৈরি মেডিক্যাল বোর্ড রবিবার রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে। তাঁর এই শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
৮০ বছর বয়সি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ডায়বেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জটিলতা কখনও তীব্র হচ্ছে, কখনও আবার নিয়ন্ত্রণে আসছে। কিন্তু সবটাই ওঠানামার মধ্যে রয়েছে। কোনও শারীরিক পরীক্ষা রিপোর্টই স্থিতিশীল নয় বলে জানা যাচ্ছে। এই অনিশ্চয়তার কারণে তাঁকে কয়েকদিন ধরে একেবারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নেত্রীর চিকিৎসায় ভারপ্রাপ্ত মেডিক্যাল বোর্ড সূত্রে খবর, খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে লন্ডন পাঠানোর সময় আরও অন্তত দু'দিন পিছিয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘ যাত্রার ঝুঁকি বিবেচনায় নেওয়া এই সিদ্ধান্ত এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের উপর।
ঢাকার হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা নেত্রীর বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জরুরি বৈঠকে বসেন। তারপর শনিবার ও রবিবার তাঁর বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। সোমবার আবারও বোর্ডের বৈঠক হওয়ার কথা। যেখানে সর্বশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে পর্যালোচনার পর চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনও পরিবর্তন আনা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকরা।
জানা যাচ্ছে, বিএনপি সুপ্রিমোর ডায়বেটিসের মাত্রা ওঠানামা, কিডনির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং হৃদ্যন্ত্র-সংক্রান্ত জটিলতার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি ফুসফুসের পরিস্থিতিও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী তথা খালেদার পুত্রবধূ ডাঃ জুবাইদা রহমান চিকিৎসার বিষয়টি নজরদারি করছেন। লন্ডন থেকে ঢাকায় আসার পর থেকে তিনি প্রতিদিনই হাসপাতালে যাতায়াত করছেন।
