সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগের কথা। কেরল কংগ্রসের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, 'প্রীতি জিন্টার (Preity Zinta) ১৮ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।' শুধু তাই নয়! 'প্রীতি নাকি তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন।' কংগ্রেসের এহেন কটাক্ষের মাঝেই মহাকুম্ভে আস্থার ডুব দিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী। এরপরই অবশ্য কেরল কংগ্রসের উদ্দেশে তোপ দেগে পালটা ঝাঁজালো উত্তর দিয়েছিলেন 'সোলজার' অভিনেত্রী। যা শুনে নেটপাড়ার একাংশ 'ভক্ত' আখ্যা দেয় প্রীতিকে। এমন আবহেই বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে।

সদ্য সোশাল মিডিয়ায় 'AskMe session' করেন প্রীতি জিন্টা। সেখানেই জল্পনা উসকে দিয়ে জনৈক অনুরাগী তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, 'আপনি তো প্রকৃত অর্থে একজন সৈনিক (সোলজার)। আপনাকে কুর্নিশ! শুধু জানতে চাই, আপনি কি রাজনীতিতে যোগ দেবেন?' সেই প্রশ্নের উত্তরেই প্রীতি জিন্টা ধোঁয়াশা সরিয়ে জানান, "রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকী রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছি। কারণ আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে 'সৈনিক' (সোলজার) বললেও অত্যুক্তি হবে না। কারণ আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা। আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র 'ভারতীয়'। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।"
সম্প্রতি কেরল কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে, "উনি ওঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপিকে দিয়ে দেন। এবং বিনিময়ে ১৮ কোটি টাকার ঋণ মকুব করিয়ে নেন। গত সপ্তাহে ব্যাঙ্কটির (নিউ ইন্ডিয়া কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক) পতন হয়েছে। গ্রাহকরা নিজেদের প্রাপ্য অর্থের দাবিতে রাস্তায় বসেছেন।" এই দাবি উড়িয়ে পালটা প্রীতি লিখেছেন, "আমি আমার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিজেই নিয়ন্ত্রণ করি। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত এমন ‘ফেক নিউজ’ ছড়াচ্ছেন! আমাকে কোনও ঋণ কেউ মকুব করে দেয়নি। আমি তো বিস্মিত যে একটি রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রতিনিধিরা এমন ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে ও গসিপে উস্কানি দিচ্ছে। ক্লিক বেইট ছড়াচ্ছে আমার নাম-ছবি ব্যবহার করে!" সেই সঙ্গেই প্রীতি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তিনি ঋণ নিয়েছিলেন ওই ব্যাঙ্ক থেকে। কিন্তু তা শোধও করে দিয়েছেন সময়মতো। দশ বছর আগে শোধ করে দেওয়া সেই ঋণ নিয়েই তাঁকে কংগ্রেস খোঁচা দিচ্ছে এবং মিথ্যে খবর রটাচ্ছে বলে তোপ দেগেছেন প্রীতি।