সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'জিগরা' সমালোচকদের মন পায়নি। তবে আলিয়া ভাটের অভিনয় প্রতিভা নিয়ে কারও কোনও সংশয় নেই। শুধু নায়িকা হিসেবে নয়, সুদক্ষ অভিনেত্রী হিসেবেও বলিউডে আলিয়া(Alia Bhatt) নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রণবীর কাপুরের মতো স্বামী আর রাহার মতো মিষ্টি মেয়ে পেয়েছেন। এতকিছুর পরও মানসিক রোগে ভুগছেন অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এই কথা।
আলিয়া জানান, তাঁর ADHD অর্থাৎ অ্যাটেনশন ডেফিসিট / হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার রয়েছে। এই রোগের একাধিক প্রতিক্রিয়া থাকে। কেউ সবসময় অন্য কারও অ্যাটেনশন চায়, কেউ আবার হঠাৎ অন্যমনস্ক হয়ে পড়তে পারে। সাধারণত শিশুদের মধ্যেই এই ADHD রোগের প্রভাব দেখা যায়। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মনেও এর প্রভাব পড়ে।
সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আলিয়া বলেন, "আমি ছোটবেলা থেকেই অন্যমনস্ক হয়ে যেতাম। ক্লাসরুমে কিংবা আড্ডার মাঝে আচমকা ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলতাম। পরে নিজের মানসিক অবস্থার পরীক্ষা করাই। তখনই জানতে পারি আমার ADHD স্পেকট্রাম অনেক বেশি। অর্থাৎ আমার অ্যাটেনশন ডেফিসিট / হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার রয়েছে।" অভিনেত্রী জানান, যখন এই বিষয়ে তিনি নিজের কাছের মানুষদের জানান, তাঁরা এমন ভাব করেন যেন আগে থেকে জানতেন।
প্রসঙ্গত, এই একই সমস্যা মালয়ালম সিনেমার সুপারস্টার ফাহাদ ফজিলের রয়েছে। তাঁর আবার অ্যাটেনশন পাওয়ার চাহিদা বেশি। বিশেষজ্ঞদের মত, ছোটদের ক্ষেত্রে খুব সহজেই ADHD রোগের চিকিৎসা করা যায়। আর বড়দের ক্ষেত্রে লক্ষণ বুঝে চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ণয় করতে হয়। ADHD রোগের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে কখনও ওষুধের ব্যবহার করা হয়, আবার কখনও মনোবিদের সাহায্য নেওয়া হয়।কিছুক্ষেত্রে দুই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। আশা করা যায় আলিয়ার সমস্যা খুব গুরুতর নয় এবং অভিনেত্রী এখন ভালো আছেন।