সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর দুয়েক ধরে একসঙ্গে থাকেন না তাঁরা। গত বছরের নভেম্বরে ডিভোর্সের মামলা করেছেন। যদিও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তারই মাঝে রবিবার সকালেই জানা যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে অসুস্থ এআর রহমান। মনের মানুষের অসুস্থতার খবরে আবেগে ভাসলেন সায়রা বানু। অডিও বার্তায় তাঁর একটাই অনুরোধ, "দয়া করে প্রাক্তন স্ত্রী বলবেন না।"
সকলকে নমস্কার জানিয়ে অডিও বার্তা শুরু করেন সায়রা বানু। তিনি বলেন, "আমি রহমানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আমি জানতে পারি ওঁর বুকে যন্ত্রণা হয়েছে। অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করানো হয়েছে। আল্লার কৃপায় উনি এখন সুস্থই রয়েছেন।" সায়রা বানুর আর্জি, "সকলকে বলতে চাই আমাদের এখনও পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদ হয়নি। আমরা এখনও স্বামী-স্ত্রী। গত ২ বছর ধরে আমরা আলাদা রয়েছে। কারণ, আমরা একে অপরের সঙ্গে ভালো থাকছি না। আমরা ওঁকে কোনও মানসিক চাপ দিতে চাই না। তাই দয়া করে আমাকে 'প্রাক্তন স্ত্রী' বলবেন না। আমরা আলাদা থাকলেও সবসময় পাশে আছি। আমি সকলকে বলব দয়া করে ওঁকে মানসিক চাপ দেবেন না।"
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। বিয়ের এত বছর পর আচমকা কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানাননি দুজনেই। বিচ্ছেদ মানেই যে শুধুই তিক্ততা নয়, সে বার্তা আগেই দিয়েছিলেন সায়রা বানু। বিচ্ছেদ ঘোষণার পর মিউজিক মায়েস্ত্রোর সম্পর্কে নানা কুকথা, চটুল, কুৎসিত খবর ছড়াতেই ময়দানে নেমেছিলেন তিনি। সম্প্রতি সায়রার অস্ত্রোপচারের সময় পাশে ছিলেন রহমান।