সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিওয়ালির মরশুম। সোমবার আলোর রোশনাইয়ে গা ভাসিয়ে মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই 'হ্যাপি দিওয়ালি' পোস্ট করেছিলেন আসরানি। হাসপাতাল থেকেই রঙ্গোলির ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। কে জানত শিয়রেই সাক্ষাৎ যম? তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতালের শয্যাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আসরানি। সন্ধের মধ্যেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেতার। তবে কাকপক্ষীতেও টের পায়নি! পঞ্চভূতে বিলীন হওয়ার পর আসরানির মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু কেন পরিবারের তরফে অভিনেতার মৃত্যুসংবাদ শেষকৃত্যের আগে ফাঁস করা হয়নি?
জানা গেল, আসরানি নিজেই চাননি যে তাঁর শেষযাত্রায় সেলেবসুবো বিষয় থাকুক। কিংবা সেলেবদের ভিড় হোক। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, মৃত্যুর আগে স্ত্রী মঞ্জুর কাছে বিশেষ ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন গোবর্ধন আসরানি। সেসময়েই স্ত্রীকে বলে দেন যে, পৃথিবী থেকে নীরবে বিদায় নিতে চান তিনি। কারণ প্রবীণ অভিনেতা চেয়েছিলেন, আমজনতা তাঁকে একজন 'সাধারণ মানুষ' হিসেবেই মনে রাখুক। সেই প্রেক্ষিতেই স্ত্রী মঞ্জুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে তার মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে কোনওরকম হই-হট্টগোল না হয় বা মিডিয়ার ভিড় না হয় শেষযাত্রায়। এদিকে আসরানির প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকবার্তার ভিড় সোশাল পাড়ায়। মঙ্গলবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীও।
নরেন্দ্র মোদির পোস্টে উল্লেখ, 'শ্রী গোবর্ধন আসরানিজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। একজন প্রতিভাবান বিনোদনবিদ এবং একজন সত্যিকারের বহুমুখী শিল্পী, যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দর্শকদের বিনোদিত করে গিয়েছেন। বিশেষ করে, তিনি তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়ের মাধ্যমে অসংখ্য জীবনে আনন্দ এবং হাসি জুগিয়েছিলেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা।'
