মে মাসের ১০ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে সন্দীপ রায়ের ছবি নয়ন রহস্য। 'হত্যাপুরী'র পর ফের ফেলুদা অবতারে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ছবি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে স্পষ্ট কথায় অভিনেতা। শুনলেন শম্পালী মৌলিক।
ফেলুদা কি গরমকে হারিয়ে হল-এ টিকে থাকতে পারবে?
ইন্দ্রনীল: আমার মনে হয়, গরমকে হারানোর জন্য হল-এ আসাটা ইন্টেলিজেন্ট ডিসিশন। ঠান্ডা পাবে, ফলে ওটাই স্মার্ট ডিসিশন। মনে হয়, ফেলুদা টিকে থাকতে পারবে (হাসি)।
ট্রেলারের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখছি...
ইন্দ্রনীল: মিক্সড রিঅ্যাকশন তো আগের বারও ছিল। সো ইটস গুড। প্রতিক্রিয়া তো দিচ্ছে মানুষ।
‘হত্যাপুরী’-র পরে এবারে আপনার দ্বিতীয় ফেলুদা। এবারে চরিত্রটা বসে গিয়েছে আপনার মধ্যে, আশা করছি। কী মনে হয়, আরও জমবে?
ইন্দ্রনীল: মনে হয়, আমাদের তিনজনের (ইন্দ্রনীল (ফেলুদা), অভিজিৎ গুহ (জটায়ু), আয়ুশ দাস (তোপসে) কাজ বেটার হওয়া উচিত। কারণ, আমরা এখন আগের চেয়ে বেশি অভ্যস্ত। আমাদের বন্ডিং আগের চেয়ে বেটার হয়ে গিয়েছে। বাবুদার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও হয়ে গেছে। কাজেই শুরুতে যে অ্যাংশাসনেস ছিল, আমরা ট্রায়ো হয়ে উঠতে পারব কি না, সেটা অনেকটাই কেটে গেছে। প্রত্যেকবারই যখন আমরা ফেলুদা করব, এটা পরীক্ষাই হবে। এভরি টাইম ইট উইল বি জাজড। ইট উইল বি ক্রিটিকালি অবজার্ভড কিন্তু একটু আত্মবিশ্বাস এবার আমাদের আছে। আমি বলছি না ওভার কনফিডেন্ট।
‘নয়ন রহস্য’ করার পর্যায়ে একটা সময় প্রযোজক বদলেছে। একসময় পরিচালক সন্দীপ রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। নানারকম ঝড় ঝঞ্ঝা পেরিয়ে তারপরে আবার শুট হয়েছে। সেটা নিয়ে কি একটু দুশ্চিন্তা হচ্ছিল?
ইন্দ্রনীল: আমার মনে হয়, ‘হত্যাপুরী’-র সময় অনেক বেশি ঝড় গেছে। এবারে তো কিছুই হয়নি। বাবুদা মাঝখানে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমরা ফিরে আসি। আবার মহাবলীপুরমে গিয়ে ওই পার্টটা শুট করেছি আমরা। প্রযোজক চেঞ্জ হয়েছে, ইটস অল রাইট। আগের বারও পাল্টেছিল। উই হ্যাভ গুড হাউস ‘সুরিন্দর ফিল্মস’। আমার মনে হয় না, বিরাট কিছু আমরা ফেস করেছি।
এই ছবিটায় বাচ্চা নয়ন-ই (অভিনব বড়ুয়া) নায়ক প্রায় বলা চলে।
ইন্দ্রনীল: নয়ন-ই নায়ক। তাই তো নাম ‘নয়ন রহস্য’।
এবারে ছবির ইউএসপি কী হতে চলেছে?
ইন্দ্রনীল: নয়ন ডেফিনিটলি একটা আকর্ষণ। আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল সুনীল তরফদার, ম্যাজিশিয়ান। যেটা দেবনাথ করেছে। তাছাড়া এবারে জটায়ুর অনেক কিছু করার আছে। ‘হত্যাপুরী’-তে ফেলুদাই অল ইন অল ছিল। এবারেও ফেলুদা ডেফিনিটলি তার কাজটা করবে। তবে অনেক জায়গায় জটায়ুকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটা জায়গা আছে, জটায়ুকে বলা হচ্ছে, আপনি প্রদোষচন্দ্র মিত্র হয়ে ইন্টার্যাক্ট করুন, রাজেশ শর্মার সঙ্গে। জটায়ুর অনেক কাজ আছে। যেখানে ফেলুদা অবজার্ভ করছে। টকি পোর্শন ফেলুদার ‘হত্যাপুরী’-তে বেশি ছিল, এবারে সীমিত। কারণ, অন্যরাও কাজ করছে। তাই এবারে বেশি করে অনসম্বল কাস্ট-এর ছবি, মানে সবাই রহস্য সমাধানে অংশ নিচ্ছে।
ফেলুদার জীবনে স্মার্টফোন এলেও, নারী নেই এখনও পর্যন্ত। এদিকে গত দু-তিন বছরে আপনার বিবাহিত জীবন চর্চায় এসেছে বারবার। কীভাবে সামলেছেন?
কিছুদিন আগেই কলকাতায় শুট করে গেলেন কাজলের সঙ্গে। বিশাল ফুরিয়ার ছবি ‘মা’-এর জন্য। কীরকম চরিত্র?
ইন্দ্রনীল: খুব বড় চরিত্র নয়। তবে আমি কাজলের স্বামীর চরিত্রে। এর থেকে বেশি বলতে পারব না। ইটস আ সুপার ন্যাচারাল থ্রিলার। চরিত্রটা দৈর্ঘ্য অনুযায়ী বড় না হলেও, আমি খুশি এই প্রোজেক্টের অংশ হতে পেরে। অজয় দেবগণের প্রোডাকশনে কাজের সুযোগ এল। যখন আমার কম বয়স ছিল, যখন কাজল, রবিনা বা সোনালি বেন্দ্রের সঙ্গে হিরো হওয়ার সঠিক সময় ছিল, তাদের সঙ্গে আমি এই বয়সে কাজ করতে পারছি (হাসি)। আই অ্যাম হ্যাপি যে, আমার প্রাইম হিরোইন ছিল যারা, তাদের সঙ্গে এখন কাজ করছি।
আরও তো কটা বাংলা ছবি পাইপলাইনে?
ইন্দ্রনীল: হ্যাঁ, ‘পুরাতন’-এর জন্য অপেক্ষা করছি। যেখানে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শর্মিলা ঠাকুর রয়েছেন, সুমন ঘোষের পরিচালনায়। আর ‘আমার লবঙ্গলতা’ অনেক আগের ছবি, ওটাও রিলিজের অপেক্ষায়। আরও কয়েকটার কথা চলছে, দেখা যাক। (হাসি)