বাঙালির পয়লা বৈশাখ মানেই নস্ট্যালজিয়া। পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা থেকে হালখাতা, সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। তবে আজকের বাঙালি কি ততটাই উন্মুখ থাকে নববর্ষ নিয়ে? অতীত স্মৃতিচারণা এবং এবারের নববর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে 'সংবাদ প্রতিদিন' ডিজিটালে লিখলেন যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরত জাহান।

এবারের বাংলা বছরটা 'আড়ি' রিলিজের ভাবনাচিন্তা নিয়ে কেটে যাচ্ছে। আমরা নিত্যদিন বিভিন্ন জায়গায় দু'জনে মিলে ছবির প্রচারে যাচ্ছি। আশা করব, নতুন বছরে আনন্দ করার পাশাপাশি সবাই নতুন বাংলা ছবিও হইহই করে দেখতে যাবে। তার পাশাপাশি গরমের সঙ্গে 'ফাইট' করছি, তবে এটাও বলব, পয়লা বৈশাখের উষ্ণতার সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা চলে না! নববর্ষের স্মৃতিতে ডুব দিলেই আমার কাছে খাওয়াদাওয়া এবং নতুন জামাকাপড় ছাড়া সেরকম কিছু মনে পড়ে না। বছরের পয়লা দিন মানেই ছুটি। সকাল থেকে সকলকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতাম। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে গয়নার দোকানে যেতাম হালখাতা করতে। সেখানেই মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয় দেদার খেতাম।
পয়লা বৈশাখ মানেই বাঙালির নতুন বছর। আমার বাবা তুতো ভাইবোন, পরিবারের সকলের জন্য জামাকাপড় কিনতেন। কোনওসময় এমনও হয়েছে, কোনও তুতো ভাইয়ের জামা যদি আমার পছন্দ হত, আমি নিয়ে নিতাম। আর আমারটা ওর জন্য পাঠিয়ে দিতাম। এখন শুধু বাচ্চারা নতুন জামা পায়, আমরা পাই না। মজা করে বলতে গেলে, দাদুরা দুই নাতি রিয়াংশ এবং ঈশানের জন্য ঠিক জামা পাঠিয়ে দিয়েছেন, তবে আমাদের জন্য কিচ্ছু আসেনি। আমাদের আর নতুন করে দুই সন্তানের জন্য কিছু কিনতে হয় না। দাদুরাই উৎসব-অনুষ্ঠানে ঠিক নিয়ম করে পাঠিয়ে দেন।
শৈশবের থেকে পয়লা বৈশাখের আমেজ এখন অনেকটাই আলাদা। নববর্ষ মানেই তো নতুন জামাকাপড় পরা। ক'টা জামা হল সেটার হিসেব খুব রাখতাম। আগে তো যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠান উপলক্ষেই জামা কেনা হত। এখন অবশ্য পয়লা বৈশাখের শপিং বলে সেরকম আলাদা করে কিছু হয় না। তবে পুরনো দিনের কথা মনে পড়লে এখনও মন কেমন করে। এক ধাক্কায় অতীতে ফিরে যাই।