সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: "গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে ছাবা", শুক্রবারই অখিল ভারতীয় মারাঠি সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিয়ে ভিকি কৌশলের (Vicky Kaushal) 'পিঠ চাপড়ে' দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রশংসা এসেছে বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিকমহলের সর্বস্তর থেকে। তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না 'ছাবা'র (Chhaava)।

বক্স অফিসে অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়েও সঙ্গী বিতর্ক। এর আগে সম্ভাজি মহারাজের নাচগান দেখে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন মারাঠিরা। এবার মানহানি মামলার হুমকি এল তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলে। দুই মারাঠা যোদ্ধা গনোজি এবং কানহোজির বংশধররাই 'ছাবা' উপর তাঁদের পূর্বপুরুষ সম্পর্কিত তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলে শাসিয়েছেন! সিনেমা দেখানো হয়েছে, গনোজি এবং কানহোজির বিশ্বাসঘাতকতার জেরেই ঔরঙ্গজেবের কাছে পরাস্ত হতে হয় সম্ভাজিকে। যড়যন্ত্রের করে মোঘল সম্রাটের শিবিরে যোগ দেয় দুই মারাঠা যোদ্ধা। মারাঠা লোককথাতেও এই কাহিনি বহুল প্রচারিত। এবার সিনেমার পর্দায় সেই দৃশ্য দেখে তেড়েফুড়ে উঠলেন গনোজি, কানহোজির বংশের ত্রয়োদশ প্রজন্ম। তাঁদের অভিযোগ, ছবিতে এহেন দৃশ্যের জন্য তাঁদের পরিবারের মান-মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে পরিচালককে সেই দৃশ্য বদলের জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। নচেৎ ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হবে পরিচালক লক্ষ্মণ উতরেকর (Laxman Utekar) এবং টিম 'ছাবা'র বিরুদ্ধে।
এদিকে বিতর্কের সূত্রপাত হতেই মাঠে নেমেছেন লক্ষ্মণ খোদ। জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন গনোজি, কানহোজির বংশধরদের কাছ থেকে। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমদ্যেই পরিচালক লক্ষ্মণ উতরেকর গনোজি, কানহোজির বংশধর ভূষণ শিরকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি যে ছবিতে কোনও গ্রামের নাম বা তাঁদের নামের শেষ অংশ ব্যবহার করে অপমান করতে চাননি, সেকথাও জানিয়েছেন। এবার দেখার ক্ষমাপ্রার্থী পরিচালকের অনুরোধে চিঁড়ে ভিজবে কিনা! উল্লেখ্য, বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ যতই জ্বলুক না কেন, মাত্র দশ দিনে ৩২৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে 'ছাবা'।
প্রসঙ্গত, 'ছাবা'র শুটিং শুরুর আগে থেকেই ম্যারাথন দৌড়ে ভিকি কৌশল। কখনও ২৫ কিলো ওজন বাড়িয়েছেন। একমুখ দাঁড়ি রাখতে হয়েছে সম্ভাজির চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য। আবার দীর্ঘ কয়েক মাস শুট চলাকালীনও কম কসরত করেননি ভিকি কৌশল। একবার তো গোটা রাত দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ফলে হাত অবশ হয়ে মারাত্মক চোট পান অভিনেতা। এমন পরিস্থিতি হয় যে একমাস শুটিং থেকে বিরতি পর্যন্ত নিতে হয়েছিল। ১৪ তারিখ রিলিজের প্রাক্কালেও আদা-জল খেয়ে প্রচারের ময়দানে ছুটেছেন ভিকি কৌশল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেট্রো সিটিতে জমিয়ে প্রচারেরর পাশাপাশি কখনও সিদ্ধিবিনায়কে পুজো দিয়েছেন আবার কখনও মহাকুম্ভে গিয়ে পুণ্যস্নান করে এসেছেন। এবার সেই কঠোর পরিশ্রমেরই ফল পাচ্ছেন ভিকি। তাঁর কেরিয়ারের সবথেকে বড় ফিল্মি ওপেনিংয়ের খেতাব জিতে নিল 'ছাবা'।