সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৩০ মার্চ বড়পর্দায় ধামাকাদার এন্ট্রি নিতে চলেছে 'শত্রুদের ত্রাস, দুস্থদের রবিনহুড' 'সিকন্দর' সলমন। গতকালই সে খবর নিজের সোশাল মিডিয়ায় ঘটা করে প্রকাশ করেছেন ভাইজান। মুক্তির দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই অগ্রিম বুকিংয়ের ধুম পড়ে গিয়েছে। সেই আবহেই এবার বলিউডের ভাইজানের সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করলেন পরিচালক এ আর মুরুগাদোস। নিরাপত্তার হুমকির মধ্যে কেমন ছিল সলমনের সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা?

এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে পরিচালক মুরুগাদোস বলেছেন, "সলমন স্যর অন্যান্য তারকাদের থেকে একেবারেই আলাদা। তাঁর সঙ্গে শুটিং করাটা মহাযজ্ঞের শামিল। প্রায় প্রত্যেক সিনেই সেটে ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকত। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করাই ছিল বিশাল ব্যাপার। সলমন স্যরের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমাদের সব সময় সচেতন থাকতে হত। কোথাও যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হত। শুটিং শিডিউলের বাইরে তার জন্য আলাদা করে যথেষ্ট সময় লেগে যেত।" এরপরই মুরুগাদোস জানান, লাগাতার খুনের হুমকির জন্য সলমনের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল। ফলে সেটে যে অন্যান্য অভিনেতারা থাকতেন তাঁদের ঢোকা বা বেরনোর জন্য আলাদা করে ২/৩ ঘণ্টা কেটে যেত। এরজন্য প্রতিদিনই শুটিংয়ে দেরি হত। ফলে আমাদের প্রত্যেকের বায়োলজিক্যাল সাইকেল সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিকভাবে অসুবিধা হলেও ক্রমে তা রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই মানিয়ে নেওয়াটা আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।"
প্রসঙ্গত, চব্বিশের গোটা বছরটা আতঙ্কে কাটিয়েছেন ভাইজান ও তাঁর পরিবার। এমনকী তাঁদের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টেও হামলা চালায় বিষ্ণোই গ্যাং। তবে কাজ না থামিয়ে নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন বলিউড সুপারস্টার। দুবাই থেকে আনা বুলেটপ্রুফ গাড়িই এখন তাঁর বাহন। সঙ্গে থাকছে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। আবার বছরের শুরুতেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট মুড়েছেন সলমন। শুটিং সেটেও তাঁর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে 'সিকন্দর'-এর শুটিং ঠিক কতটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছিল সেকথাই শুনিয়েছেন পরিচালক। তবে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা যতই কঠিন হোক না কেন এখন পর্দায় 'সিকন্দর' সলমনকে দেখায় জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সিনেপ্রেমীরা।