shono
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

'ধর্মের নামে রক্তারক্তি, ঈশ্বর দেখছেন', গানেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ নেহা-টনি কক্করের

বিতর্কের মাঝেই বাংলাদেশ নিয়ে গান বেঁধে ড্যামেজ কন্ট্রোল?
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 08:00 PM Dec 24, 2025Updated: 08:00 PM Dec 24, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওসমান হাদির মৃ্ত্যুর পর থেকেই জ্বলছে বাংলাদেশ। এমন আবহে দীপু দাসের নারকীয় হত্যাকাণ্ড কাঁপন ধরিয়েছে গোটা বিশ্বে। হিন্দু যুবককে গণপিটুনি দিয়ে খুনের পর পোড়া মুণ্ডু ও ধড় নিয়ে ‘মৌলবাদী পশু’দের উল্লাস দেখে স্তম্ভিত সভ্য সমাজ! নৃশংস এই ঘটনায় এবার ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নেহা কক্কর এবং টনি কক্কর। দিন কয়েক আগেই 'ক্যান্ডি শপ' শীর্ষক মিউজিক ভিডিও এনে অশ্লীলতার অভিযোগে বিদ্ধ হতে হয়েছিল দুই ভাইবোনকে। এবার গানেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ নেহা-টনির। যা দেখে নিন্দুকদের প্রশ্ন, বিতর্কের মাঝে এটা ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা নয় তো?

Advertisement

দিন কয়েক ধরেই ইউনুসের দেশের 'কাণ্ড-কারখানা' পরখ করে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। পদ্মাপাড়ের এহেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে এবার প্রতিবাদী গান বেঁধে ফেললেন বলিউডের দুই সঙ্গীতশিল্পী নেহা কক্কর এবং টনি কক্কর। গানের ভাষাতেই বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের নিন্দায় মুখর হয়েছেন তাঁরা। নেহার শেয়ার করা মিউজিক ভিডিওয় টনিকে গাইতে শোনা যায়, "দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেউ কথা বলুন। এই ঘটনার দায়ভার যাদের, তাদের প্রশ্ন করুন। ধর্মের নামে এত রক্তারক্তি, মারামারি, কাটাকাটি। হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করাটা ঠিক হচ্ছে না। ঈশ্বর কিন্তু উপরে বসে সব দেখছেন। আর কাঁদছেন।..." গানের কথাতেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ করলেন টনি কক্কর। আর ভাইয়ের সেই গানের ভিডিও শেয়ার করে প্রতিবাদে শামিল হলেন নেহা কক্করও। আর সেই ভিডিও দেখেই নেটপাড়ার একাংশ প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

দিন কয়েক আগে 'ক্যান্ডি শপ' গানটিতে স্বল্পাবাসে নেহার নাচের ভঙ্গি নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। কেউ কেউ ভারতীয় সংস্কৃতি কলুষিত করার অভিযোগও তুলেছিলেন দুই কক্কর ভাইবোনের বিরুদ্ধে। এবার বাংলাদেশ নিয়ে বাঁধা প্রতিবাদী গান শুনে একাংশ বলছেন, 'এই তো এবার একটা ঠিকঠাক গান বানিয়েছেন।' কারও বা কটাক্ষ, 'এটা হচ্ছে ললিপপ গানের প্রায়শ্চিত্ত।' এহেন নানা মন্তব্যের ভিড় মন্তব্য বাক্সে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির। এই ঘটনার পরই ভয়ংকর হিংসা ছড়ায় গোটা বাংলাদেশে। এরই রোষ গিয়ে পড়ে দীপু নামে ওই সংখ্যালঘু হিন্দু যুবকের উপর। ময়মনসিংহের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা দীপু গত দু’বছর ধরে ভালুকার একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কারখানায় হঠাৎ একদল বিক্ষোভকারী চড়াও হন। চলে ভাঙচুর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, টেনে হিঁচড়ে কারখানার বাইরে বের করে আনা হয় দীপুকে। তারপর গণপিটুনি দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপুর। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গাছে বেঁধে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সঙ্গে চলে স্লোগান। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সভ্য সমাজ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গানেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ নেহা-টনির।
  • যা দেখে নিন্দুকদের প্রশ্ন, বিতর্কের মাঝে এটা ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা নয় তো?
Advertisement