সুমন করাতি, হুগলি: বিনোদুনিয়ায় একসময় রাজত্ব করেছেন। প্রাপ্তির ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবি তাঁর। গেম শো 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এর জনপ্রিয়তা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। সম্প্রতি কেরিয়ারের নতুন ইনিংস শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে পা রেখেই সাংসদ তিনি। হুগলির উন্নয়নের গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তা বলে কি আর বড়পর্দায় দেখা যাবে না রচনাকে? রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তারকা সাংসদ।

জল্পনা কিছুটা জিইয়ে রেখে তিনি বলেন, "দেখা যাক। ভাবিনি কিছু। এই মুহূর্তে যদি বলো তাহলে বলব একদমই সময় নেই। আর ভবিষ্যতে বলতে পারছি না।" পোলবায় এক রক্তদান শিবিরে যোগ দেন রচনা। তাঁর কথায়, "আমার জেলায় যা যা অনুষ্ঠান হয়, আমি সেখানে আসার চেষ্টা করি।"
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর কথায় চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রথম রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লোকসভা ভোটের ময়দানে নামানো হয়েছে। নিজের জনপ্রিয়তা আর মিষ্টি ব্যবহারে নিবিড় জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়ে রচনাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভরসাযোগ্য। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে কখনও হুগলির কারখানার ধোঁয়া আবার কখনও বা দইয়ের প্রশংসা করে ট্রোল-মিমের শিকার হয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেই পোড় খাওয়া নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে 'অতি সাবধানী' রচনা। এদিন অবশ্য লকেটকে নিয়ে একটি কথাও বলতে চাননি রচনা।