সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবাব পরিবারের মেয়ে হয়েও গণেশ চতুর্থী থেকে দিওয়ালি, শিবরাত্রি.. সব উৎসবেই শামিল হন সারা আলি খান। কাশীর বিশ্বনাথ, আসমে কামাখ্যা থেকে কেদারনাথ, উজ্জিয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দির একাধিক তীর্থক্ষেত্র চষে ফেলেছেন সারা। তার জন্য অবশ্য কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি নবাবকন্যাকে। তবে দমে যাওয়ার পাত্রী নন তিনি। এর আগে কটাক্ষের শিকার হয়ে তিনি বলেছিলেন, "সব ধর্মকেই আমি সমানভাবে সম্মান করতে শিখেছি।" এবার নিন্দুক-সমালোচকদের উদ্দেশে আরও কড়া বার্তা দিলেন সারা আলি খান।

সম্প্রতি টাইমস নাও সামিট ২০২৫-এ যোগ দিয়েছিলেন সইফকন্যা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, ছোট থেকেই মা অমৃতা সিং তাঁকে শিখিয়েছেন তাঁর পরিচয় সবার আগে ভারতীয়। সারার মন্তব্য, "আমি তখন স্কুলে পড়ি। মা-বাবার সঙ্গে বিদেশে থাকতাম। তখন বারবার আমার মনে হত, অমৃতা সিং, সইফ পতৌদি, সারা সুলতানা, ইব্রাহিম আলি খান... এরকম ভিন্ন ভিন্ন পদবী কেন? আখেড়ে হচ্ছেটা কী? আমি কে বা আমার পরিচয়ই বা কী? একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমি আদতে কে? মা যে কথাটা বলেছিলেন, কোনওদিন ভুলব না। উনি বললেন- তুমি ভারতীয়।"
ওই অনুষ্ঠানেই সারা জানান, "আমাদের ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। আর আমার মনে হয়, এই সমস্ত বিভাজন নীতি সবটাই মানুষের তৈরি। আমি এগুলো মানি না। এতটা গুরুত্বই দিই না, অন্য কেউ হয়তো দেয়। অন্যদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করা মূর্খের মতো কাজ হবে। তাই আমি নিজের শর্তে চলি। আমার কেদারনাথ যাত্রা নিয়ে যাঁদের এত সমস্যা তাঁদের সকলের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, এটা তো আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, আমি যেখানে শান্তি পাই, সেখানই যাই। আর কেদারনাথে গিয়ে আমার খুব আনন্দ হয়।" এহেন বার্তায় সারা আলি খান যে ধর্মের গোঁড়ামির বাইরে বেরিয়ে নয়া প্রজন্মের কাছে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, তা বলাই বাহুল্য।