স্টাফ রিপোর্টার: ফের বিস্ফোরক রূপম ইসলাম। টলিউডের চলচিত্র পরিচালকদের নিশানা করে রূপমের দাবি, তাঁর নাম ব্যবহার করে, তাঁর জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি ব্যবহার করে সিনেমাকে হিট করানোর করার জন্যই তাঁকে নিয়েছেন পরিচালকরা ।
সম্প্রতি বর্ধমানে একটি উৎসবে গান গাইতে গিয়েছিলেন বাংলা রকসঙ্গীতের জনপ্রিয়তম শিল্পী রূপম ও তাঁর ব্যান্ড ফসিলসের সদস্যরা। সেখানেই টলিউডের পরিচালকদের উদ্দেশ্য করে তাঁকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলেছেন রূপম। তিনি বলেন, "আমাদের ওই অশোকস্তম্ভের নিচে লেখা আছে ‘সত্যমেব জয়তে’। এইটে একটু মাথায় রাখবি। আমরা কিন্তু সেই দেশের নাগরিক। এখানে ফেসবুক রিল জেতে না। এখানে সত্য কথা জেতে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘এই যে আমার মতো একটা লোক এতদিন ধরে আমার গান কেউ শুনবে না ভেবেও বারবার মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া অতিক্রম করেও এই যে গান লিখে গেল, গান গেয়ে গেল, সিনেমার কৃপাপ্রার্থী না হয়েও!’’
এমনিতেই রূপম তথা ফসিলসের গান মানেই সোজাসুজি অপ্রিয় সত্য কথার বিস্ফোরণ, আঠেরোর স্পর্ধা, তারুণ্যের তেজ। যে কারণে বাংলার কিশোর ও তরুণ সমাজে রূপম ইসলামের জনপ্রিয়তা বহুজনের ঈর্ষার কারণ বলে মনে করা হয়। বর্ধমানের মঞ্চেও সেই চেনা আগুনে মেজাজ রূপম বলেন, ‘‘আমাকে পরিচালকদের কৃপাপ্রার্থী হতে হয়নি। তাঁরা আমাকে নিয়েছে আমার নামটা ব্যবহার করার জন্য। আমার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করার জন্য তারা নিয়েছে আমাকে। আমি অতিরিক্ত কো্নও সুবিধা সেখান থেকে পাইনি।’’ এরপরই রূপমের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘লাভবান কারা হয়েছে? যাদের বুদ্ধি আছে, বিবেচনা আছে, তারা জানে।’’
গত ১৬ বছরে অর্ধশতাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন রূপম। তারপরও সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁকে আক্রমণ করে পোস্ট করা কয়েকটি রিলস ও মন্তব্য আহত করে শিল্পীকে। এদিন বর্ধমানের মঞ্চে সেই রাগেরই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে বারবার। একইসঙ্গে ২৭ বছর টানা গেয়ে চলা দুনিয়ায় হাতে গোনা কয়েকটি ব্যান্ডের মধ্যে ফসিলস যে অন্যতম, সে কথাও মনে করিয়ে দেন রূপম। বলেন, ‘‘এটা অল্টারনেটিভ গানবাজনার মঞ্চ। এটা অত সোজা নয়! এর পিছনে ব্যবসাপতিরা টাকার থলি নিয়ে দাড়িয়ে ছিল না কোনওদিন। বিরাট বিরাট দারুন দারুন হিরোকে আমাদের গানের ভিডিওতে আমরা পাইনি। তারপরও ওই যে বলল, ২৭ বছর! ২৭ বছরের একটা ব্যান্ড। বিশ্বে কটা আছে গুনে দেখো! আর জনপ্রিয়তা উর্ধমুখী কটা আছে গুনে দেখো! এরকমভাবে অডিয়েন্স সব গান গাইছে, সব গান মুখস্ত-গুনে দেখো। এটা কিন্তু বাঙালির একটা অহঙ্কার!’’