সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলার নেপথ্যে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র? এই দিকটিও তদন্তকারীদের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই মনে করছে মুম্বই আদালত। রবিবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। হামলা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে ধৃতকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। তাই আততায়ী শেহজাদকে ৫ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সইফের হামলাকারী মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে রবিবার সকালেই গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন দুপুরের দিকে তাকে বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে জেরা করার জন্য ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক আদালতে বলেন, "ছুরি দিয়ে সইফ আলি খানের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতী। কীভাবে সে অভিনেতার বাড়িতে ঢুকল, হামলার কারণই বা কী, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যেহেতু সে বাংলাদেশের নাগরিক তাই হামলার নেপথ্যে অন্য কোনও গুরুতর কারণও থাকতে পারে। তাই ১৪ দিন হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন।"
কিন্তু অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী তার বিরোধিতা করেন। তাঁর দাবি, "ধৃত মোটেও বাংলাদেশি নাগরিক নয়। সে ভারতীয়। বর্তমানে মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তার অতীতে কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার রেকর্ডও নেই। সইফের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে অযথা উত্তেজনা হচ্ছে। ধৃতকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।" দুপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তিনি বলেন, "আপাতত তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে। সবেমাত্র একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে হামলার ছকের সম্ভাবনাও থেকে থাকতে পারে। তা না হলেও হামলার নেপথ্যের অন্য কী কারণ রয়েছে, জানার জন্য তদন্তকারীদের কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন। সে কারণে ধৃতকে আরও জেরা করা দরকার। তাই তাকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে।"