সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের বিষ নজরে তিনি। বারবার পান খুনের হুমকি। সেই সলমন খানের মানুষের দুঃখে কেঁদে ওঠে প্রাণ! সম্প্রতি এক চিকিৎসক পড়ুয়া সে কথা সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন। যা দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।
চিকিৎসক পড়ুয়া নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। লেখেন, "আমি বলিউড তারকাদের সম্পর্ক নানা নিন্দা শুনেছি। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজে শেষ বছরে শিশুবিভাগে আমি অবাক করা ঘটনার সাক্ষী হই। আর তারপর থেকে সলমন খানকে নিয়ে আমার ভাবনাচিন্তা সত্যিই বদলে গিয়েছে। আমি একটি ছোট্ট মেয়ের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করি। দেখে তাঁর হৃদযন্ত্রে একটি ছিদ্র রয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। যা বেশ ব্যয়বহুল। পরিবারের যা অবস্থা, তাতে ওই অস্ত্রোপচারের খরচ সামলানো সম্ভবপর নয়। ওই শিশুর বাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি তার বড়দা গত কয়েক বছর ধরে একই সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু ওই ছেলেটি মুম্বইয়ের সেরা হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেয়েছে। 'ভাইজান' সলমন খান পাশে দাঁড়ানোয় তা সম্ভব হয়েছে।"
কীভাবে সলমন খানের কাছে পৌঁছল ওই ছেলেটির পরিবার? খুদের বাবা চিকিৎসক পড়ুয়াকে জানান, তিনি নিজে সলমনের অফিসে যান। শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখান। সমস্ত রিপোর্ট জমা নেন। ভালো করে তা খুঁটিয়ে দেখা হয়। আর তারপর সলমনের টিম অস্ত্রোপচারের যাবতীয় খরচ বহন করে। ওই মেডিক্যাল পড়ুয়ার দাবি, "শিশুর বাবা নিজে মুখে জানান বিনা প্রচারে অনেকেরই চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন সলমন।" শিশুর পরিবারের লোকজনের পাশে শিশুকন্যার চিকিৎসাতেও সাহায্য করেন 'ভাইজান'।
My first, hand experience that completely changed my view of Salman Khan .
byu/Imsongoku7 inBollyBlindsNGossip
সোশাল মিডিয়ায় চিকিৎসক পড়ুয়ার পোস্ট নজর কাড়ে সকলের। ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা। কেবল বি-টাউন নয়, বাস্তবেও যে সলমন আদতে 'ভাইজান', তা যেন প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। বলে রাখা ভালো, সলমন খানের 'বিইং হিউম্যান' সংস্থায় বিক্রি হওয়া পোশাক, ঘড়ি এবং গয়নার লাভ্যাংশ থেকে চিকিৎসা এবং শিক্ষা নিয়ে সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। আর তার ফলে শুধু এই খুদেই নয়, উপকৃত হয়েছে আরও অনেকেই।
