রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বক্সা টাইগার রিজার্ভে জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে হাতির তাড়া। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন সঙ্গীতশিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাচিকশিল্পী সাম্য কার্ফাও। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত তাঁরা।

গত ২২ ও ২৩ মার্চ আলিপুরদুয়ারের একটি বেসরকারি কলেজে অনুষ্ঠান করতে যান মনোময় ভট্টাচার্য ও সাম্য কার্ফা। ২৪ মার্চ অর্থাৎ সোমবার তাঁরা বক্সা টাইগার রিজার্ভের জয়ন্তীতে সাফারিতে যান। সাফারি গাড়িতে করে জয়ন্তীর জঙ্গলে ঢোকেন। সেই সময় বিশালাকার এক হাতি তাঁদের গাড়ির পথ আটকে দাঁড়ায়। মুহূর্তের মধ্যে হাতিটি তাঁদের গাড়ির দিকে তেড়ে আসে। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চালক গাড়িটি দ্রুত বেগে পিছিয়ে নেন। হাতিটি সেই সময় অগ্নিশর্মা। গাড়ি লক্ষ্য করে ধাওয়া করে। প্রায় ৪০ মিটার তাড়া খেয়ে সাফারি গাড়িটিকে। এরপর পথ বদলায় হাতিটি। রক্ষা পান পর্যটকরা।
বিশালাকার ওই মাখনা হাতির সঙ্গে একটি শাবকও ছিল বলে জানিয়েছেন শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এর আগে একাধিকবার ডুয়ার্সের জঙ্গলে এসেছি। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি। একেবারে হাতির মুখোমুখি বলতে যা বোঝায় তাই হয়েছিল। বিশালাকার হাতির সঙ্গে একটি শাবকও ছিল। হাতিটি তেড়ে এলে আমরা সাফারি গাড়ি পিছিয়ে বিপদ এড়াই। বিপজ্জনক হলেও হাতি ধাওয়া করার মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার অভিজ্ঞতা লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট। ” উত্তরবঙ্গ সফরের বেশ কয়েকটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন সঙ্গীতশিল্পী। হাতির তাড়ার মতো বিপজ্জনক ঘটনার পর কোনওক্রমে প্রাণরক্ষা হওয়ায় স্বস্তিতে অনুরাগীরা।