সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ছাবা'। যে সিনেমা কিনা মুক্তির পর থেকেই নানা কারণে চর্চার শিরোনামে। খুব কম দিনেই ৫০০ কোটির গণ্ডি টপকে বক্স অফিসে ঝড় তো তুলেই দিয়েছে, পাশাপাশি দর্শকদের মনস্তত্ত্বেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে এই ছবি। তবে তাঁর প্রভাব যে এমন মারাত্মক সুদূরপ্রসারী হবে, তা সম্ভবত আগে কেউ আঁচও করতে পারেননি! শেষে সিনেমা দেখে কিনা, গুপ্তধনের খোঁজে খোঁড়াখুড়ি। একেবারে যেন দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড! মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের এমনই ঘটনা ঘটেছে। যা জানলে চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য!

রাতের অন্ধকারে রীতিমতো জেসিবি, বড় টর্চ, শাবল-গাঁইতি নিয়ে খননকার্য চালায় বুরহানপুরের আসিরগড়ের জনতা। তাঁদের ধারণা, মাটি খুঁড়ে মুঘল আমলের কিছু স্বর্ণমুদ্রা কিংবা গুপ্তধনের হদিশ মিললেও মিলতে পারে। অনেকে আবার দাবি করেছেন, ওই এলাকায় নাকি কেউ কেউ স্বর্ণমুদ্রাও দেখতে পেয়েছেন। ভিকি কৌশলের 'ছাবা' (Chhaava) দেখার পর সেই ভাবনা আরও চাগাড় দিয়েছে। কারণ সেই ছবিতে বুরহানপুরের নাম নেওয়া হয়েছে। দেখানো হয়েছে, এককালে মুঘলদের বাস এখানেই ছিল। আর সেখান থেকেই তাঁদের মনে হয়েছে, এখানেই লুকিয়ে রয়েছে মুঘলদের গুপ্তধন। অতঃপর যন্ত্রপাতি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, দুর্গের চারপাশে পুরোদমে চলছে খননকার্য। এমনকী মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও চারপাশ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, সোনাদানা কোথাও লুকিয়ে রাখা রয়েছে কি না। আসিরগড়ের বাসিন্দাদের এহেন খোঁড়াখুড়িতে বেজায় বিরক্ত সেই অঞ্চলের জমির মালিকরা। আপত্তি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কে শোনে কার কথা? যদিও প্রশাসনের তরফে গত বৃহস্পতিবার সেই অঞ্চলে গিয়ে খোঁড়াখুড়ি করা জনতার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশের সাহায্যে গ্রামবাসীদের খননকার্য বন্ধ করা হয়। এমনকী সেই অঞ্চলে গুপ্তধন পাওয়ার সম্ভাবনাও তাঁরা উড়িয়ে দিয়েছেন, তবে সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর তরফে সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই হেসে খুন নেটপাড়া। সেখানেই দেখা গেল, গ্রামবাসীরা শাবল-গাঁইতি, এমনকী কোদাল দিয়ে দুর্গের চারপাশে খননকার্য শুরু হয়েছে। আনা হয়েছে মেটাল ডিটেক্টরও। আর বুরহানপুরের সেই আজব কীর্তিই বর্তমানে চর্চার শিরোনামে।